পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৪৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eți fra voዓ3 আদি বাসস্থামে চলিয়া ধান। প্রবাসী কুমারচন্দ্র বাবুর স্মৃতিচিহ্নস্বরূপ তাঁহায় সুবৃহৎ অট্রালিকা মাত্র এক্ষণে লখীমপুরে বিদ্যমান রহিয়াছে। আমরা পাঁচ বৎসর পূর্বে দেখিয়াছিলাম তথায় জনৈক স্থানীয় উকীল ভাড়া ছিলেন। আর কোন বাঙ্গালী এখানে স্থায়ী অধিবাসী হন নাই বটে, কিন্তু রেল ও গবৰ্ণমেণ্টের বিবিধ বিভাগে কৰ্ম্ম লইয়া বহু বাঙ্গালী মধ্যে মধ্যে খেয়ী লখীমপুরে প্রবাসৰাস করিয়া যান। তন্মধ্যে চিকিৎসা বিভাগেই তাহদের আবির্ভাব কিছু ঘন ঘন। কুমারচন্দ্র বাৰু এখানে ওকালতী করিতে আসিয়া একজন বাঙ্গালী স্বাক্তারকে দেখিয়াছিলেন। ডাক্তায় বেণীমাধব দাস বহুকাল সিভিল মেডিকেল অফিসরের কৰ্ম্ম করিয়া ডাক্তার বিনােদবিহারী ঘোষকে কাৰ্যভার দিয়া স্থানান্তরে গমন করেন। বিনােদ বাবুর পায় ডাক্তার বনমালী পাল সিভিল মেডিকেল অস্ট্রিসর হইয়া আসিয়া সাত বৎসর খেৱী-প্রবাসে অবস্থিতি করেন এবং ১৮৯৯ অব্দে কুমারচন্দ্র বাবুর মৃত্যুর সময় বনমালী বাবু স্থানান্তয়ে গমন করিলে এসিষ্টাণ্ট সার্জন হরকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় আগমন করেন। পাঁচবৎসর পূৰ্ব্বে আমরা যখন খেরী গিয়াছিলাম তখনও । লখীমপুর হাসপাতালে বাঙ্গালী ডাক্তারকেই দেখিয়াছিলাম, এবং সেই সময় দেখিয়াছিলাম খেরীজেলার অন্তর্গত "ঝিণ্ডিপুরুয়া” তালুকের ম্যানেজার জনৈক বাঙ্গালী। তঁহাকে কাৰ্য্যোপলক্ষে অধিকাংশ সময় সদরে অর্থাৎ লখীমপুরে থাকিতে হয়। তঁহায় সহিত আলাপ প্রসঙ্গেই কুমারচন্দ্র বাবুর জমিদারী লাভ ও প্রবাসবাসের সংবাদ প্রাপ্ত হই। র্তাহার নাম শ্ৰীযুক্ত বিপিনচন্দ্ৰ ভট্টাচাৰ্য্য। তিনি কুমারচন্দ্র বাবুরাই ভ্রাতুষ্পপুত্র। ১৯০৩ খ্ৰীষ্টাব্দ হইতে তিনি খেৱীপ্রবাসী হইয়া আছেন। খেরী জেলার অধীন “ভুর” নামে একটী তালুক আছে। তাহার বাৰ্ষিক আয় প্রায় দুই লক্ষ টাকা। পূর্বে উহা মােঝর্গাই’ ও ‘জগদেবপুর’ নামে দুই অংশে বিভক্ত ছিল। চৌহান রাজপুতবংশীয় রাজমিলাপ সিং ও তঁহার ভ্রাতা রাজদিল্লীপৎ সিং তাহার অধিকারী ছিলেন। মিলাপ সিং এক কন্যা রাখিয়া পরলোক গমন করিলে নিঃসন্তান দিল্লীপৎই ভুর ষ্টেটের একাধিকার প্রাপ্ত হন। র্তাহার মৃত্যুতে র্তাহার তিনজন জ্ঞাতিভ্রাতা দেবীবক্স, রঘুবর ও মঙ্গল সিং, সমান তিন অংশে উহা ভোগ করিতে থাকেন। রাজদেবীবক্স এক কন্যা রাখিয়া দেহত্যাগ করিলে মাজগাইয়ের তালুকদার মৃত মিলাপ সিংহের কন্যা পিতার উত্তরাধিকার স্বত্বের দাবী করিয়া আদালতের আশ্রয় গ্ৰহণ করেন। এই গৃহ-বিবাদসূত্রে ।