পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঞ্জাব । , \OSS) করিয়া দিল্লীতে গিয়া উপস্থিত হন এবং পিতৃহন্তার দণ্ডবিধানের জন্য সম্রাট জাহাঙ্গীরের নিকট সমস্ত জ্ঞাপন করেন ও তঁহার সাহায্য প্রার্থনা করেন। সম্রাট জাহাঙ্গীর মানসিংহের অধীনে বহু সৈন্যসহ কচুরায়কে প্ৰতাপদমনে প্রেরণ করেন । কচুরায়ের মন্ত্রণায় এবং কৃষ্ণনগর-রাজবংশের আদিপুরুষ ভবানন্দ মজুমদারের সহায়তায় এবার মানসিংহ জয়লাভ করেন। কচুরায় যশোহরের সিংহাসনে অধিরূঢ় হইলেন এবং ভবানন্দ মজুমদার মানসিংহের সহিত দিল্লী আগমন করিলেন। ১৬০৬ খৃষ্টাব্দে অর্থাৎ জাহাঙ্গীরের রাজত্বের দ্বিতীয় বৎসরে ভবানন্দ মজুমদার দিল্লীশ্বর জাহাঙ্গীরের নিকট হইতে বঙ্গদেশে চতুর্দশ পরগণার দেওয়ানী সনন্দ প্ৰাপ্ত হইয়া দেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগে (১৬৯২ খৃঃ অব্দ ) দিনাজপুর রাজবংশের পূর্বপুরুষ প্ৰাণনাথ রায় দিল্লী যাত্রা করিয়াছিলেন। তঁহার বিরুদ্ধে দিল্লীদরবারে অভিযোগ উপস্থিত হইলে তিনি সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমীপে সন্তোষজনক রূপে আত্মপক্ষ সমর্থন করিয়া দোষমুক্ত হন । বাদসহ তঁহার প্রতি সন্তুষ্ট হইয়া “রাজা” উপাধি ও বহুমূল্য খেলাৎ দ্বারা তঁহাকে সম্মানিত করেন। দিল্লীযাত্রাকালে তিনি বৃন্দাবনে যমুনার জলে যে রাধাকৃষ্ণমূৰ্ত্তি পাইয়াছিলেন, দিনাজপুরে ফিরিয়া সেই যুগলমূৰ্ত্তি ‘রুক্মিণীকান্ত’ নাম দিয়া নিজ গৃহে প্ৰতিষ্ঠিত করেন। তঁহার বংশধর রাজা রামনাথ ১৭৭৫ খৃষ্টাব্দে দিল্লী-দরবারে মহারাজ খেতাব ও বহুমূল্য খেলাত পাইয়াছিলেন। তিনি স্বীয় অধিকার সুরক্ষিত করিবার জন্য দুর্গ নিৰ্ম্মাণ, অন্ত্রাগার রক্ষা ও সৈন্যপোষণের অনুমতি পাইয়া দেশে ফিরিয়াছিলেন এবং স্বহস্তে দিনাজপুর রাজ্যের ভার লইয়াছিলেন । * ঐ বংশের রাজা কৃষ্ণনাথ রায় দিল্লীর বাদসাহ দ্বিতীয় সাহ আলমের নিকট মহারাজ উপাধি ও রাজ্যপ্ৰাপ্তির সনন্দ লইয়া দেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিয়াছিলেন । প্ৰথম সাহ আলম বা বাহাদুর সাহের রাজত্বকালে তঁাহার পুত্র আজীম-উশ-শােন সুবে বাঙ্গালার নাজীম ও দেওয়ান ছিলেন। র্তাহার অধীনে জৈনুদ্দীন নামে একব্যক্তি হুগলীর ফৌজদার ছিলেন। কিঙ্করসেন নামে জনৈক বাঙ্গালী জৈনুদীিনের পেশকার ছিলেন। তিনি এই জৈনুদীিনের সহিত দিল্লী গমন করিয়াছিলেন। বেহারের নায়েব সুবাদার মহারাজ বাহাদুর জানকীনাথ

  • "সংক্ষিপ্তো দিনাজপুর-রাজবংশ"-একাদশ-সর্গ। ]

ঐ ষোড়শ-সর্গ: । । SS LD