পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৫১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8oミ বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । কৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। ১৮৪০ অব্দে তীাহার মৃত্যু হইয়াছে। * রাজকৃষ্ণবাবুর দিল্লী আসিবার পর বৎসর ১৮৪০ অব্দে মহাত্মা কৃষ্ণানন্দ ব্ৰহ্মচারী কর্তৃক এখানে কালীবাড়ী স্থাপিত হয়। সিপাহীবিদ্রোহের সময় পৰ্য্যন্ত ঐ কালীবাড়ী যমুনার উপকূলে কাগজী মহল্লায় ছিল। বিদ্রোহীরা উহা ভগ্ন ও দগ্ধ করে। এক্ষণে ঐস্থানে দিল্লীর প্রসিদ্ধ কুঠিয়াল কৃষ্ণদাস গুড়ওয়াল৷ সি, আই, ই মহাশয়ের সদাব্রত ও ধৰ্ম্মশালা অবস্থিত। বিদ্রোহের কিছুদিন পরে নীলমণি ব্ৰহ্মচারী নামক জনৈক বাঙ্গালী ব্ৰাহ্মণ দিল্লী আগমন করেন। তঁহারই উদ্যোগে একটি ভাড়াটিয়া বাড়ীতে ঐ কালীমূৰ্ত্তির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। এই মূৰ্ত্তি অষ্টধাতুনিৰ্ম্মিত দক্ষিণাকালীমূৰ্ত্তি। হাবড়ার অন্তর্গত বসন্তপুর গ্রামনিবাসী শ্ৰীযুক্ত বৈকুণ্ঠনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় এই বিগ্রহের প্রাত্যহিক পূজা করিয়া থাকেন। ইহাদের পর র্যাহারা দিল্লীতে প্ৰবাস স্থাপন করিয়াছেন তাহারা সকলেই অৰ্দ্ধশতাব্দীর মধ্যে আসিয়াছিলেন । তঁহাদের মধ্যে স্বৰ্গীয় বাবু শিবচন্দ্র বসু এবং স্বৰ্গীয় বাবু কালীনারায়ণ রায় অন্যতম। দিল্লীর তৃতীয় প্রবাসী। ১৮৭৮ অব্দে আগত স্বৰ্গীয় বাবু গোপালকৃষ্ণ ভট্টাচাৰ্য্য। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় প্ৰথমে রেলের কৰ্ম্ম লইয়া ভরতপুর প্রবাস হইতে দিল্লী আগমন করেন। তিনি এখানে কিছুকাল পরে ঐ কৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া কণ্টাক্টরী এবং বিলাত হইতে অর্ডার সাপ্লাইয়ের কাজে ধনশালী হন। কয়েক বৎসর পরে দিল্লীর খ্যাতনামা ডাক্তার স্বৰ্গীয় হেমচন্দ্ৰ সেন মহাশয় এখানে আগমন করেন। তঁহারা সকলেই এখানে বাড়ীঘর করিয়া একটী বাঙ্গালী উপনিবেশ স্থাপন করিয়া গিয়াছেন এবং তঁহাদের বংশধরগণ দিল্লীতেই বাস। করিতেছেন। ডাক্তার হেমচন্দ্ৰ সেন জয়পুর-রাজ্যের ভূতপূৰ্ব্ব মন্ত্রী স্বনামখ্যাত ৬/ সংসারচন্দ্ৰ সেন মহাশয়ের সহোদর ছিলেন। সর্বসাধারণে সম্মানিত আতিথেয় হেমবাবু দিল্লী প্রবাসী বাঙ্গালী সমাজের শীর্ষস্থানীয় ছিলেন। হেমবাবু দিল্লীবাসী বাঙ্গালীদিগের নিকট চিকিৎসার জন্য দক্ষিণা লইতেন না। ১১ বৎসর পূর্বে “প্রবাসী৷” পত্রিকায় দিল্লীপ্রবাসী শ্ৰীযুক্ত সারদা প্ৰসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় লিথিয়াছিলেন—“পরহিতব্ৰত, উদারচেতা শ্ৰীযুক্ত হেমচন্দ্র সেন মহাশয় প্রবাসী to The Eastern Star of 1840, quoted at page 121, Reminiscence, and Anecdotes by R. G. Sanyal, Vol. I.