পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৫২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* | 89 কাৰ্য্যে প্রবাসী বাঙ্গালী খামাচরণ বাবুকে তদপেক্ষা অল্প ক্লেশ পাইতে হয় নাই। ইনি কিম্বা ইহারই ন্যায় সচ্চরিত্র, সবলকায়, অধ্যবসায়ী এবং দৃঢ়ব্ৰত ব্যক্তি ভিন্ন এইরূপ গুরুকাৰ্য্য সুচারুরূপে সম্পন্ন হইত কি না সন্দেহ। যাহা হউক, ইনি এই বিদ্যালয়ে অধিক দিন তিষ্ঠিতে পারেন নাই। খৃষ্টধৰ্ম্মে ইহার আস্থা ছিল না। যে দুইবৎসর ইনি এখানে হেডমাষ্টারের কার্য্য করিয়াছিলেন, তন্মধ্যে একটী ছাত্রও খৃষ্টধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করে নাই। শ্যামাচরণ বাবু এখানে পদত্যাগ করিয়া গবৰ্ণমেণ্টের রাজস্ব বিভাগে কৰ্ম্ম গ্ৰহণ করেন। ১৮৫৫ অব্দে সার চালাস উডের শিক্ষাসম্বন্ধীয় পত্ৰ (Educational Despatch ) অনুসারে যখন প্ৰাদেশিক শিক্ষাবিভাগ স্থাপিত হয়, তখন সাহিত্য জগতের জ্যোতিষ্ক স্বনামধন্য এডুইন আন লন্ড ও ম্যাথিউ আনন্ডের সহােদর ডব্লিউ, ডি, আন লন্ড, পঞ্জাবে শিক্ষাকৰ্ম্মাধ্যক্ষ নিয়োজিত হন। কিন্তু উপযুক্ত পরামর্শদাতা ও সাহায্যকারী ব্যতীত নবাগত সাহেব মহোদয় অন্ধকার দেখিলেন। আবার শ্যামাচরণ বাবুকে আবশ্যক হইল। রাজস্ব বিভাগে থাকিলে অল্প দিনের মধ্যে তিনি ডেপুটি কলেক্টর * হইতে পারিতেন। কিন্তু তিনি সাধু উদ্দেশ্যের বশবৰ্ত্তী হইয়া উক্ত বিভাগ ত্যাগ করিয়া আন লন্ড সাহেবের সহযোগিতা করিবার জন্য শিক্ষা বিভাগে প্রবেশ করিলেন। ডিরেক্টর সাহেব তাঁহাকে স্বীয় দপ্তরের বড়বাবু করিলেন এবং শীঘ্রই ইনস্পেক্টর অব-স্কুলস এর পদে তাহাকে উন্নীত করিয়া দিবেন। বলিয়া আশ্বাসও দিলেন। আন লন্ড সাহেবের অকালমৃত্যু না হইলে হয়ত তিনি উক্ত পদ হইতে বঞ্চিত হইতেন না। এসম্বন্ধে আন লন্ড সাহেব শ্যামাচরণ বাবুকে ১৮৫৮ সালের ১১ই এপ্রেল তারিখে ধৰ্ম্মশালা হইতে যে পত্র লিখিয়াছিলেন, তাহার একস্থানে আছে ". . . But at present the European element in the

  • ১৮৬২ সালের ২৭শে নভেম্বর তারিখে ডিরেক্টর কাপ্তেন ফুলার পঞ্জাব গবৰ্ণমেণ্টের সেক্রেটীকে লিখিয়াছিলেন- ** * * and by quitting the ordinary Civil Department. He lost the chance . . . of attaining to the grade of Extra Assistant Commissioner k . . He was highly praised by the late Mr. Arnold, my predecessor. for industry and an able, conscientious discharges of arduous and difficult duties and for his conduct during the mutiny. This was concurred in by the Financial Commissioner and the Chief Commissioner. e k o