পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৫৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঞ্জাব । । 8SX চিকিৎসার প্রতি লোকের অনুরাগ ও বিশ্বাস বৃদ্ধি করিবার জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করিয়াছেন এবং স্বয়ং একজন বিচক্ষণ চিকিৎসক বলিয়া প্ৰসিদ্ধি লাভ করিয়াছেন। পঞ্জাবের প্রধান প্ৰধান ব্যক্তিবর্গ এবং দেশীয় রাজ্যের রাজা ও সর্দারগণ র্তাহার চিকিৎসাধীন থাকিবার জন্য আগ্ৰহান্বিত হইতেন শুনা গিয়াছে। গবর্ণমেণ্ট তাঁহাকে খাঁ বাহাদুর উপাধি ও খিলাতাদি দিয়া সম্মানিত করেন। এতদ্ব্যতীত তিনি গবৰ্ণমেণ্ট কর্তৃক “অনারারী সার্জনের” দুলৰ্ভ উপাধিতে ভূষিত হন। তিনি ভিন্ন অন্য কোন ভারতবাসী উক্ত পদবী পান নাই। ১৮৯৬ অব্দে তিনি কৰ্ম্ম হইতে অবসর লইয়া স্বেচ্ছামত চিকিৎসা করিতে থাকেন। র্তাহার মত ব্যবসায়ের প্রসার পাঞ্জাবে এপর্য্যন্ত আর কোন ডাক্তারের হয় নাই । লাহোর মেডিকেল কলেজ তাহার প্রতিকৃতি রক্ষা করিয়াছেন। খাঁ বাহাদুর ডাক্তার রহীমুখ বঙ্গদেশের এবং বঙ্গীয় মুসলমান সমাজের গৌরবস্থল৷ “পঞ্জাবী” সম্পাদক ও লাহাের প্রবাসী শ্ৰীযুক্ত কালীপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায় মহাশয় লাহােরের আর একজন বাঙ্গালী মুসলমান ডাক্তারের কথা বলিয়াছেন। তিনি বৰ্দ্ধমান নিবাসী গুড়ীভ স্কলারশিপ প্ৰাপ্ত ডাক্তার তমিজ খাঁ পঞ্জাব চীফকোর্টের অবসর প্ৰাপ্ত বিচারপতি বাঙ্গালীগৌরব সার প্রতুলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রায় বাহাদুর বর্তমান পঞ্জাববাসী সমাজের শীর্ষস্থানীয়। তিনি এখানের সকল শুভানুষ্ঠানের উৎসাহদাতা, সৰ্ব্বপ্রকার সুশিক্ষা ও সাহিত্যসভার অনুকুল বিদ্যানুরাগী, সহৃদয় এবং সৰ্ব্বজনপ্রিয়। তিনি শিক্ষাবস্থাতেই স্বীয় অনন্যসাধারণ প্ৰতিভার পরিচয় এবং সমুজ্জল ভবিষ্যতের আভাস দান করিয়াছিলেন। তখনই তঁাহার অধ্যয়নস্পৃহা এরূপ বলবতী ছিল যে নিদিষ্ট পাঠ্যপুস্তক ব্যতীত রাশি রাশি সদগ্ৰন্থ পাঠ করিয়াছিলেন। ১৮৬৯ অব্দে জেনােরল এসেমব্লিজ ইনষ্টিটিউশ্যন হইতে এম এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া ১৮৭০ সালে প্রেসিডেন্সী কলেজ হইতে বি, এল, পরীক্ষা দান করেন। আইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া সেই বৎসরই পঞ্জাবের চীফকোর্টে ওকালতী আরম্ভ করেন। সে সময় ভূতপূৰ্ব্ব কাশ্মীরসচিব স্বনামধন্য শ্ৰীযুক্ত নীলাম্বর মুখোপাধ্যায় এম,এ, এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টের বর্তমান প্ৰবীণ ও বিজ্ঞ ব্যারিষ্টার শ্ৰীযুক্ত দ্বারকানাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ অনেক লব্ধপ্রতিষ্ঠ বাঙ্গালী লাহাের চীফ কোর্টের উকীলসম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। এখানে প্রতুল বাবু অল্প দিনেই সকলের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। প্রথম হইতেই তাহারা তাহার প্রখর বুদ্ধির পরিচয়