পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৫৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

°छ् । 8&G বিরোধ চলিতেছিল। শীতলাকান্ত বাবুর সুযুক্তিপূর্ণ সতেজ লেখনীর পরিচালনে তৎপ্রতি গভৰ্ণমেণ্টের মনোযোগ আকৰ্ষিত হইল এবং তাহার ফলে মূলতানের ডেপুটী কমিশনারের দুষিত আচরণ নিবারিত হইয়া সৰ্ব্বত্র শান্তি বিরাজ করিতে লাগিল। প্রায় দুই বৎসর টিবিউনের সম্পাদকতা করিয়া শীতলাকান্ত বাবু ১৮৮২ সালে উক্ত পদত্যাগ করেন, এবং ১৮৮৪ সালে ৪৷৫ মাস এলাহাবাদে আইন অধ্যায়ন করিয়া ওকালতী পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। এই কয়মাস তিনি ১৫০২ বেতনে “বিহার হেরল্ড” পত্রিকার সম্পাদকতা করেন। আইন পাস করিয়া তিনি মীরাট জজ আদালতে ওকালতী আরম্ভ করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে পসার করিয়া লয়েন ; কিন্তু এই ব্যবসায়ে আদৌ। তাহার শ্রদ্ধা ছিল না, এজন্য উহ। শীঘ্রই ত্যাগ করিলেন। এদিকে তঁহার অনুপস্থিতিতে টিবিউন পত্রিকার অনেক ক্ষতি হইলে পত্রিকার অধ্যক্ষ শীতলাকান্ত বাবুকে পুনরায় সম্পাদন করিতে বিশেষ অনুরোধ করেন। তদনুসারে তিনি ২০০২ টাকা বেতনে টিবিউনের কার্য্য লইয়া লাহোরপ্রবাসী হন। এবার তিনি অধিকতর উদ্যম এবং উৎসাহের সহিত পত্রিকা পরিচালন করিয়া ইহাকে ভারতের, বিশেষতঃ পঞ্চনদ প্রদেশের, এক মহাশক্তি করিয়া তুলিলেন। এই পত্র প্রথমে সাপ্তাহিক ছিল, পরে সপ্তাহে তিনবার প্রকাশিত হইতে থাকে। ইহা পঞ্জাবে নবযুগ আনয়ন করিয়াছে। শীতলাকান্ত বাবুর লেখনী অবিচার ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে যমদণ্ড স্বরূপ সত্যত উদ্যত থাকিত। র্তাহার অমর লেখনীর পরিচালনে যেমন অনেক দুষ্টের দমন হইয়াছিল, তেমনি পাঞ্জাব প্রদেশে অনেক হিতকর কাৰ্য্য অনুষ্ঠিত হইয়াছিল। পূর্বে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী শিক্ষা ইচ্ছাধীন ছিল; কিন্তু শীতলাকান্ত বাবু এই বিষয়ে ক্রমাগত আন্দোলন করিয়া ওরিয়েণ্টাল কলেজে ইংরেজী শিক্ষা অবশ্য-শিক্ষণীয়রূপে নিৰ্দ্ধারিত করান। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার লার্পেণ্ট সাহেব উৎকোচ গ্ৰহণ করিয়া রাজদ্বরে অভিযুক্ত হন। শীতলাকান্ত বাৰু বিশেষ পরিশ্রম সহকারে প্রমাণ সংগ্ৰহ করিয়া গভৰ্ণমেণ্ট দ্বারা কমিশন বসান। লার্পেণ্ট সাহেব তাহাতে কৰ্ম্মচ্যুত হন। “টি বিউন” তখন না থাকিলে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্কোদ্ধার হওয়া "অসম্ভব হইত। এই কাৰ্য্যে তিনি “জনসাধারণের শ্রদ্ধাভাজন হইয়াছিলেন। কিন্তু আর একটী সৎকীৰ্ত্তি করিয়া শীতলাকান্ত বাবু এ প্রদেশে চিরযশস্বী হইয়াছেন। অমৃতসর পুলিসের কৰ্ত্তা দুৰ্দ্ধান্ত ওয়ারবার্টন সাহেবের নামে তৎপ্রদেশ তখন