পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৫৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8\V বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । কিন্তু দশটি ভাষায় মহাপণ্ডিত, অতি উচ্চাদরের বক্তা, সুলেখক ও গভীর চিন্তাশীল পুরুষ বলিয়া হিন্দু, মুসলমান ও খৃষ্টান শিক্ষিতসমাজে আদৃত হইয়াছিলেন। সকলেই একবাক্যে বলিতেন, তাহার সমকক্ষ কেহই ছিলেন না। এই গোলোকনাথের নাম কয়জন বাঙ্গালী জানেন ? মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় যাহা ভারতের জন্য করিয়া গিয়াছেন, রেভারেণ্ড গোলোকনাথ তাহা পঞ্জাবের জন্য এবং বিশেষভাবে জালন্ধরের জন্য করিয়াছেন। জালন্ধরের ২৪ মাইল দক্ষিণপশ্চিমে সুলতানপুর নামে একটী নগর আছে। পৌরাণিকযুগে ঐ স্থানের নাম ছিল “তামসবন।।” এখানে কাত্যায়ন মুনি তঁহার “অভিধৰ্ম্মজ্ঞানপ্ৰস্তাব” রচনা করিয়াছিলেন । এখানে পালবংশীয় রাজা মদনপাল রাজত্ব করিয়াছিলেন । জলন্ধর ‘দোয়াবে' জাহাঙ্গীর মহিষী নূরজাহানের নামে নূরুমহল নগরী স্থাপিত হয়। উহ জালন্ধর সহরের ১৬ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত। এই স্থানে রাজা মহীপালের নামে অঙ্কিত মুদ্রা পাওয়া গিয়াছিল। জালন্ধর পঞ্জাব প্রদেশের একটী বিভাগ। জলন্ধর, হুসিয়ারপুর এবং কাংড়া ইহার অন্তভুক্ত জেলাত্রয়। পঞ্জাবের রাজধানী লাহোর হইতে জলন্ধর সহর ৯২ ক্রোশ দক্ষিণপূৰ্ব্বে অবস্থিত। ফরাক্কাবাদের দেববংশীয় স্বৰ্গীয় আশুতোষ দেবের দৌহিত্র লর্ড ডাফরিণ মেডেল প্ৰাপ্ত শ্ৰীযুক্ত অতুলকৃষ্ণ ঘোষ মহাশয় পাতিয়ালায় এবং উমেশবাবুর বংশাবলী জলন্ধরের স্থায়ী বসবাসী হইয়াছেন। ডাক্তার পি, এন, দত্ত মহাশয় এডিনবার্গে এম ডি পরীক্ষায় গৌরবের সহিত উত্তীর্ণ হইয়া পাঞ্জাবের। চিকিৎসা বিভাগে প্ৰবেশ করেন এবং হুসিয়ারপুর জেলায় সিভিলসার্জন হন । তিনি প্লেগ সম্বন্ধে এরূপ উৎকৃষ্ট প্ৰবন্ধ লিখিয়াছিলেন যে বিলাতের পরীক্ষকগণ তঁহাকে পরীক্ষার্থীদিগের মধ্যে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট মনে করিয়া, তাহাকে সুবর্ণপদক দান করিয়াছিলেন । দিল্লী ও লাহোরের পরই রাওলপিণ্ডিতে বাঙ্গালীর উপনিবেশ উল্লেখযোগ্য কিন্তু এক সময় সমগ্ৰ পঞ্চনদ প্রদেশের মধ্যে রাওলপিণ্ডিতেই বাঙ্গালীর সংখ্যা । সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক ছিল। পঞ্জাবের প্রাচীন সহর রাওলপিণ্ডিতে মিলিটরী পে অফিসের কৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়া প্ৰথমে কয়েকজন বাঙ্গালী আগমন করেন। ১৮৯১ -অন্ধের সেন্সস গণনানুসারে এখানে ৩৫০ জন বাঙ্গালী ছিলেন। আট বৎসর পরে ঐ সংখ্যা ৩০০ শততে পরিণত হয়। এক্ষণে রাওলপিণ্ডিতে প্রবাসীর