8Gክ” বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । নূতন জ্ঞানলাভ করিতে পারে। ১৫৯০ অব্দে এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। এই মন্দির-শীর্ষস্থ আলোকরশ্মি দিল্লীর ময়ূর সিংহাসন হইতে দৃষ্টিগোচর হইত। ধৰ্ম্মািন্ধ মোগলসম্রাট আওরঙ্গজেব উহা দেখিতে পাইয়া মন্দিরের চূড়াটি ভগ্ন এমন কি মন্দির ধ্বংস করিয়া তাহার উপর মসজিদ নিৰ্ম্মাণের সঙ্কল্প করেন। সম্রাটের উদ্দেশ্য বুঝিতে পারিয়া আগ্রার প্রধান প্রধান হিন্দুগণ গুপ্তচর দ্বারা বৃন্দাবনের গোস্বামিগণের নিকট সংবাদ পাঠান। এই সংবাদে তঁহার কালবিলম্ব না করিয়া রাজপুতানার প্রবলপ্ৰতাপ রাজা মহারাজাগণের সহায়তায় প্রধান প্ৰধান বিগ্রহগুলি, অতি গোপনে ও সাবধানে স্থানান্তরিত করিতে থাকেন। অম্বরপতি অতি গোপনে গোবিন্দজীর মূৰ্ত্তি মন্দির হইতে বাহির করিয়া প্ৰথমে কামাবনে, পরে অম্বর হইতে, পাঁচ ক্রোশ দূরে বড়-গোবিন্দপুর গ্রামে এবং শেষে অম্বরনগরের উপকণ্ঠে ঘাটি, নামক স্থানে আনিয়া প্ৰতিষ্ঠিত করেন। অতঃপর গোপীনাথ, মদনমোহন, রাধাবিনোদ, রাধাদামোদর প্রমুখ অন্যান্য বিগ্ৰহসহ গোস্বামিগণ ক্রমে ক্ৰমে জয়পুরে স্থানান্তরিত হন। মথুরা হইতে কেশবদেবের বিগ্ৰহ আনাইয়া মিবারপতি মহারাণা রাজসিংহ প্ৰাচীন সিয়াড়, আধুনিক নাথদ্বারে নাথজী নামে প্রতিষ্ঠিত করেন। গোকুল হইতে গোকুলনাথ ও গোকুলচন্দ্ৰম মূৰ্ত্তি এবং মথুরা হইতে মথুরানাথকে কৌটায় রক্ষা করা হয়। মহাবিন হইতে বালকৃষ্ণমূৰ্ত্তি আনাইয়া সুরাটে প্ৰতিষ্ঠা করা: হয়। এইরূপে জয়পুর, মিবার, কোটা, কেরৌলী, ভরতপুর এবং রাজপুতানার নানা স্থানে মুসলমান-অত্যাচারের হস্ত হইতে আত্মরক্ষা করিবার জন্য মন্দিরের অধিকারী সেবাইত, পূজারী ও গোস্বামিগণ এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বৈষ্ণবগণ, এই সময় স্ব স্ব উপাস্ত দেবমূৰ্ত্তি লইয়া পলায়ন করেন। যাহা অবশিষ্ট ছিল তাহা, আওরঙ্গজেব মন্দিরাদি লুণ্ঠন করিয়া আগ্রার নবাব কুদসিয়া বেগমের মসজিদে উঠিবার সোপানতলে প্রোথিত করেন। এই ঘটনা। ১৬১৯ খৃঃ অব্দে ঘটিয়াছিল। এই সময় হইতে জয়পুরে বাঙ্গালীর, দ্বিতীয় উপনিবেশের সুত্রপাত হয়। গোবিন্দজীর পূজারী গোস্বামীদিগের আদিপুরুষ শ্ৰীৰূপ গোস্বামী। জয়পুরে রক্ষিত একখানি পুরাতন তালিকা হইতে জানা যায় শ্ৰীৰূপ গােস্বামীর পর তাঁহার শিষ্য গদাধর পণ্ডিত, র্তাহার অবর্তমানে তাহার শিষ্য, অনন্তাচাৰ্য গোস্বামী এবং তাহার পর তৎশিষ্য হরিদাস গােস্বামী ক্রমান্বয়ে গদির . ಫ್ಡಿ! काठौ रुन। কথিত হইয়াছে হরিদাস গোস্বামীর সময় বৃন্দাবনে গোবিন্দদেবের.
