পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৫৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজপুতানা। 8GS মন্দির নিৰ্ম্মিত হয় এবং তঁহার অধস্তন ৫ম গোস্বামী কৃষ্ণচরণের গদি অধিকারের কালে (১৬৫৫-১৬৭৯ ) গোবিন্দদেবের মূৰ্ত্তি বৃন্দাবন হইতে কাম্যবনে অম্বরাধিপতি মির্জারাজা জয়সিংহ কর্তৃক রক্ষিত হয়। মির্জারাজার পুত্ৰ মহারাজা রামসিংহ। কৃষ্ণাচরণ গোস্বামী তাহার সময় বিদ্যমান ছিলেন। তঁহার পর শিষ্যানুশিষ্যক্রমে গোবিন্দচরণ, জগন্নাথ এবং হরেকৃষ্ণ গোস্বামী গদির অধিকারী হন। ১৭১৩ হইতে ১৭৩৮ অব্দ তাহার অধিকারের কাল। এই সময় মহারাজা সওয়াই জয়সিংহ তাহার নূতন নগর জয়পুরের প্রাসাদ-মন্দিরে আনিয়া গোবিন্দজীউকে প্ৰতিষ্ঠিত করেন। এই মূৰ্ত্তি সম্বন্ধে একটী কৌতুহলোদ্দীপক গল্প আছে। প্ৰভাসক্ষেত্রে যদুবংশ ধ্বংস হইলে, শ্ৰীকৃষ্ণের প্রপৌত্র অর্থাৎ অনিরুদ্ধের পুত্ৰ ব্ৰজই একমাত্র জীবিত. ছিলেন। যুধিষ্ঠির অভিমনুর পুত্র পরীক্ষিতকে হস্তিনাপুর এবং ব্রজকে ইন্দ্ৰপ্ৰস্থ দান করেন। পাণ্ডবগণের মহাপ্ৰস্থানের পর ব্রজের জননী উষাদেবী যদুকুলপতি, কৃষ্ণের একটি পাষাণপ্ৰতিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করাইবার জন্য পুত্ৰকে অনুরোধ করেন। তদনুসারে উৎকৃষ্ট ভাস্করগণ দ্বারা মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মিত হয়। র্তাহার নির্দেশক্রমে ভাস্করগণ প্রথম যে মূৰ্ত্তি গঠন করিল উষাদেবী তাহা কৃষ্ণমূৰ্ত্তি বলিয়া স্বীকার করিতে পারিলেন না। তিনি বলিলেন গোবিন্দের চরণকমল ব্যতীত মুক্তির অন্য কোন অঙ্গের সহিত গোবিন্দের সাদৃশ্য লক্ষিত হয় না। সুতরাং পুনরায় মুক্তি নিৰ্ম্মিত হইল। এবার ব্রজের জননী বলিলেন মাধবের বক্ষস্থল ব্যতীত বিগ্রহের আর কোন অঙ্গের সহিত গোবিন্দের সাদৃশ্য হয় নাই। এবার ভাস্করগণ। সাতিশয় যত্নসহকারে গোবিন্দের ধ্যানে তন্ময় হইয়া নূতন মূৰ্ত্তি গঠন করিল। উষাদেবী এই মুক্তি দেখিয়া তৎক্ষণাৎ ঘোমটা টানিয়া দিলেন, কুলবধু দাদাশ্বশুরের সম্মুখে মুখ দেখাইতে লজ্জাবোধ করিলেন। সকলেই তখন বুঝিলেন এই মূৰ্ত্তিই গোবিন্দের অনুরূপ হইয়াছে ; সুতরাং ইনিই গোবিন্দের নামে অভিহিত DDBS iBS SKKKS BDBD DDBDBDBD g DDD DBB BD DDDB গোপীনাথ। এই মূৰ্ত্তিত্ৰয় এবং অন্যান্য মূৰ্ত্তি, কালে লুপ্ত হইলে, চৈতন্যদেবের প্রেরিত ছয়জন বাঙ্গালী গোস্বামী সেই-সমুদয়ের উদ্ধার সাধন করেন। তন্মধ্যে শ্ৰীহ্মপ কর্তৃক গোবিন্দজী, সনাতন কর্তৃক মদনমােহনজী, জীবগোস্বামী কর্তৃক রাধাদামোদরজী, লোকনাথ কর্তৃক রাধাবিনোদজী, মধুমঙ্গল কর্তৃক গোপীনাথজী,