পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৬২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজপুতানা। Głos গুরুর শতমুখে প্রশংসা করিয়া তাঁহাকে স্বর্ণ ঘড়ি ও বহুমূল্য খেলাৎ(Robe of Honour) t°3ts first Stirl's 3 (3 Svya অব্দে মহারাজা সাবালক হইলে ভারত গবৰ্ণমেণ্ট তাহাকে রাজ্যের সকল ভার ও ক্ষমতা দান করেন। তখন হইতে র্তাহার শিক্ষাবস্থার শেষ হয়। মহারাজা স্বীয় শিক্ষাগুরু ডাক্তার ভোলানাথ বিশ্বাসকে শিক্ষা বিভাগের ভার ব্যতীত, রাজকীয় মুদ্রাযন্ত্রাগারের অধ্যক্ষতা এবং জেল সুপারিন্টেণ্ডেণ্টের কার্য্যভার প্রদান করেন। ভারতগাবর্ণমেণ্ট তঁহার কাৰ্য্যদক্ষতা এবং বহুমুখী প্ৰতিভা দর্শনে বিশেষ সন্তুষ্ট হইয়। ১৮৭৭ অব্দের ১লা জানুয়ারী তারিখে দিল্লীর বিরাট দরবারে তঁহাকে রায় বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করেন। পর বৎসর সমগ্র রাজপুতানার চাফ মেডিকেল অফিসের পদ সৃষ্ট হইলে, ভরতপুরের এজেন্সী সার্জন সাহেব তৎপদে নিযুক্ত হন এবং ডাক্তার ভোলানাথ বিশ্বাসের হস্তে এজেন্সী সার্জনের কার্য পুনরায় ন্যাস্ত করা হয়। তিনি ঐ পদে অধিষ্ঠিত থাকিতেই পেন্সন গ্ৰহণ করেন। ১৮৮২ অব্দে তিনি। গবর্ণমেণ্টের কৰ্ম্ম হইতে অবসর গ্রহণ করিয়াছিলেন বটে কিন্তু ভরতপুরের মহারাজা তাহাকে ছাড়েন নাই । ১৮৯৩ অব্দে তিনি পরলোক গমন করেন। চিকিৎসায় তাহার যেমন অভিজ্ঞতা ও সুযশ ছিল, ইংরেজী সাহিত্যেও তেমনি তঁহার অসাধারণ অধিকার এবং প্রগাঢ় অনুরাগ ছিল। ভরতপুর রাজ্যের শাসন সংক্রান্ত যাবতীয় বিভাগের কঠিন ও জটিল কাৰ্য্যাবলী সুসম্পাদনা করিয়া তটুকু সময় পাইতেন। তিনি তাহারই মধ্যে উচ্চ সাহিত্য ও চিকিৎসা বিভাগের উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট গ্রন্থাবলী ও সাময়িক পত্ৰাদি অধ্যয়ন করিতেন। রাজকাৰ্য্য বাতীত মহারাজার প্রধান গৃহ চিকিৎসকের পদে অধিষ্ঠিত থাকায় তঁহাকে অনেক সময় রাজবাড়ীতেই ক্ষেপন করিতে হইত ও রাজ্যশাসন সংক্রান্ত জটিল এবং অত্যাবশ্যকীয় বিষয়ে মহারাজার পক্ষ হইতে পলিটিকাল এজেণ্ট, এজেণ্ট গবর্ণর-জেনারেল এবং ভারতগাবৰ্ণমেণ্টের সহিত তঁহাকেই পত্ৰ ব্যবহার করিতে হইত। এ সম্বন্ধে কাযে কৰ্ত্তব্যে তিনি মহারাজার প্রাইভেট সেক্রেটরী স্বরূপই ছিলেন। ভরতপুর রাজ্যের বর্তমান যাহা কিছু উন্নতি দেখা যাইতেছে এবং রাজপুতানার মধ্যে সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর হাসপাতালের জন্য যে ভারতপুর আজি গৌরবান্বিত হইয়াছে, স্বৰ্গীয় ডাক্তার ভোলানাথ বিশ্বাস রায় বাহাদুরই সে সমুদ্ৰায়ের মূল। এক কথায় বলিতে গেলে তিনিই এ রাজ্যের পুনর্জন্মদাতা । ভরতপুরবাসী এজন্য চির