পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৬৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ oや বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । করেন এবং তঁহার পুত্র রাণা প্ৰতাপসিংহ ১৫৮০ খৃষ্টাব্দে বর্তমান উদয়পুর নগর স্থাপন করেন। উদয়পুরের রাণা কৌলিন্যমৰ্য্যাদায় সকল রাজপুতগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হন। মিবারের বীরকীৰ্ত্তি কর্ণেল টড মহোদয় তাহার। রাজস্থানের ইতিহাসে চিরসমুজ্জ্বল করিয়া গিয়াছেন। উদয়পুরে বাঙ্গালীর প্রবাস বাসের ইতিহাস বিস্তৃত না হইলেও তাহা অল্প গৌরবজনক নহে। ১৯০১ অব্দে চিতোর গড়ে একজন বাঙ্গালী ডাক্তার কোটা হইতে বদলী হইয়া আসেন। তঁহার নাম বাবু নফরচন্দ্ৰ দাস। তঁহার নিবাস কলিকাতা ভবানীপুর। তিনি চিতোর গড় হইতে ঐ বৎসর আমাদের লিখিয়াছিলেন যে, রাজপুতনার সকল স্থানেই বাঙ্গালী আছেন এবং চিতোরে বাঙ্গালীর একটী কালীবাড়ী ও আছে। পরিব্রাজক । ৬/ ধৰ্ম্মানন্দ মহাভারতী মহাশয় মিবার ভ্ৰমণ করিয়া ১৩০৯ সালে “নবপ্রভা” পত্রিকায় লিখিয়াছিলেন যে, চিতোর নিবাসী মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত শ্যামল । দাসকে এরাজ্যে বাঙ্গালীর বাস সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করায় পণ্ডিতজী বলেন “এখানে বাঙ্গালী নাই এবং না থাকাই ভাল।” * * * “পঞ্চানন বাবু নামে একজন সুশিক্ষিত বাঙ্গালী ব্ৰাহ্মণ যুবা আজমাঢ় সহরে বড় চাকরী করিতেন। সাঙ্গে বদিগের অনুরোধে তঁহাকে উদয়পুরের ফৌজদারের ( পুলিষ ম্যাজিষ্ট্রেটের ) পদ প্রদত্ত হইয়াছিল, কয়েকমাস পরে তঁহাকে বিষ খাওয়াইয়া এখানকার লোকে মারিয়া ফেলে, সন্দেহযুক্ত মৃত্যু জন্য বৃটিশ রেসিডেণ্টের আদেশে মৃতদেহের । art g3 id:F. ( post mortem examination ) is 2 25 ft 7, f* কেহই অপরাধী বলিয়া সন্দিগ্ধ হয় নাই। মৃত বাবুর পরিবারকে মাসিক ত্রিশ টাকা পেন্সন দিবার জন্য মহারাজা আদেশ করিয়াছেন।” যাহা হউক এই একমাত্র ঘটনা হইতে বাঙ্গালীর প্রতি মিবারবাসীর প্রতিকূল ভাবের কোন পরিচয় হইতে পারে না। পক্ষান্তরে আমরা দেখিতে পাই মবারের যুবরাজের শিক্ষাগুরু এবং ঐ রাজ্যের শিক্ষাবিভাগের অধ্যক্ষ একজন বাঙ্গালী । তাহার নাম শ্ৰীযুক্ত মতিলাল ভট্টাচাৰ্য্য এম, এ, । ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের আদি বাস হরিনাভি। তিনি সংস্কৃত কলেজ হইতে এফ, এ, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া কিছুকাল, এলবার্ট কলেজের সংস্কৃতাধ্যাপকের কাৰ্য্য করিয়াছিলেন । এই সময় তিনি গৃহে অধ্যয়ন করিয়া বি, এ, পাশ করেন এবং তৎপরে আগ্রা কলেজের সংস্কৃত অধ্যাপক নিযুক্ত হইয়া আগ্ৰা প্রবাসী হন। ইতিপূৰ্ব্বে কলেজে এম, এ, পাশ।