পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । কোথা বিশ্বের বলি করিয়া স্পৰ্শন। জীবন্মুক্ত সেই দ্বিজ ত্যজিল জীবন ৷” “आद्र ७धक ठूक विछ छिल काडि नाम । অবিশ্বাসী বঙ্গদেশ বনগ্রামে ধাম | কিছুকাল বসতি করিয়া বারাণসী। বিশ্বেশ্বর প্রতি কটুভাষী নিশিদিশি ॥ পূৰ্ব্বজন্ম কৰ্ম্মে কাশী সম্প্রাপ্ত হইল। অগ্নিকাৰ্য্যে মুখ দগ্ধ কদািচ নাহিল৷” । “আর একজন আসি কাশীবাস করে। বাটী হেতু উৎকষ্ঠিত কিছুকাল পরে ॥ পথের সম্বল বিনা না হয় গমন । সতত ভাবিত চিত যাবার কারণ ৷ মণিকণিকার ঘাটে মিলাইল বিধি । গোময়ের মধ্যে পায় পঞ্চমুদ্রা নিধি ৷ সে সম্বলে পথে গিয়া জীবন ত্যজিল । কাশীবাসী হইয়া কাশী সম্প্রাপ্ত নাহিল ॥” । সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে হিন্দুবিগ্ৰহচুৰ্ণকারী মোগলসম্রাট আওরঙ্গজেব কাশীর মন্দিরাদি ধ্বংস, হিন্দুগণকে নিগৃহীত ও দেবদেবীর মূৰ্ত্তি চূর্ণ করিয়া এই সুসজ্জিত নগরীকে শ্ৰীহীন করিয়া দেন এবং আনন্দ-কাননকে শ্মশানে পরিণত করেন। তিনি বিশ্বেশ্বরের প্রাচীন মন্দিরের ভিত্তির উপর মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করেন এবং তাহাতেও তৃপ্ত না হইয়া বারাণসীর নাম পৰ্যন্ত বিলুপ্ত করত ইহাকে “মহম্মদাবাদ” নামে অভিহিত করেন। কাশী ও ব্রজমণ্ডল ব্যতীত বোধ হয় হিন্দুর আর কোন তীর্থই এরূপ উপৰ্য্যুপরি অত্যাচারের অধীন হয় নাই, এবং আর কোন তীৰ্থও এরূপ পুনঃ পুনঃ সংস্কৃত, সজ্জিত এবং পুনর্গঠিত হয় নাই। আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মােগল সাম্রাজ্যের পতন সাধিত হইবার পর হিন্দু রাজামহারাজাগণ কাশীর পুনঃ সংস্কারে প্রবৃত্ত হন। ১৭৩০ অব্দে দিল্লীশ্বর মহম্মদশাহ হিন্দুর এই প্রধান তীৰ্থ হিন্দু জমীদার মনসারামকে “রাজা” উপাধি দিয়া তাহার শাসনাধীন করিয়া দেন। মনসারামের পুত্ৰ প্ৰবল প্রতাপান্বিত বলবন্তসিংহ অষ্টাদশ শতাব্দীর