é (፩ o { বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । স্থাপিত করান। তঁহার দ্বারা নিৰ্ম্মিত অস্ত্ৰাদি দেখিয়া মহারাজ এতদূর সন্তুষ্ট হন যে ১২৯৩ সালে তঁাহাকে ( Captain ) পদে বরণ করেন এবং তাদোপযোগী জঙ্গী পোষাকের সহিত সন্মুখভাগে ডিম্বাকৃতি সোনার মোটােপাতে দেবীমূৰ্ত্তি অঙ্কিত, উপর নিম্নে চাঁদ অর্থাৎ বহুমূল্য চুনি পান্না ও চতুর্দিকে ৩০ হাত লম্বা সোনার তার জড়িত সুদৃশ্য পাগড়ী উপহার প্রদান করেন। নেপালে যতগুলি বৈদেশিক কৰ্ম্মচারী ছিলেন। তন্মধ্যে প্রথমে রাজকৃষ্ণ বাবুকেই নেপাল গবৰ্ণমেণ্টের প্রচলিত, রীতি অনুসারে পদস্থ করা হয়। দুই বৎসর কৰ্ম্মের পর আবার তিনি দুই মাসের ছুটী পান এবং ছুটী ইষ্টতে ফিরিয়া নেপালে বৈদ্যুতিক আলোকের প্রতিষ্ঠা করেন। নেপালে তিনিই সর্বপ্রথমে বৈদ্যুতিক আলো জ্বালাইয়াছেন। এ সময়ে কোন Electrical Engineer f. না। যে ডাইনামে। রাজকৃষ্ণ বাবু প্রথমেই বসাইয়াছিলেন তাহা এক্ষণে মহারাজাধিরাজের প্রাসাদের অন্তঃপুরে ভগ্নাবস্থায় পড়িয়া আছে। এই কাৰ্য্যে মহারাজাধিরাজ, মহারাজা এবং প্রধান সেনাপতি প্রমুখ রাজপুরুষগণকে পরম সন্তোষ দান করিয়া উন্নত প্ৰণালীর কামান ও কামানের গাড়ী প্ৰস্তুত করিয়া তিনি ৫০ ০২ ত টাকা পুরস্কার প্রাপ্ত হন । এবার তিনি মোসীন গন নিম্মাণে হস্তক্ষেপ করেন। এবং তাঁহাতে কৃতকাৰ্য্য হন । নেপালের যাবতীয় কল কারখানা রাজকৃষ্ণ বাবুর তত্ত্বাবধানে স্থাপিত ও উন্নত হয় । এক্ষণে তিনি কন্ম হইতে অবসর গ্ৰহণ করিয়াছেন, কিন্তু নেপালেঙ্গ অবস্থিতি করিতেছেন। নেপালের বাঘমতী নদীর উপকূলে তঁহার বাসস্থান। রাজকৃষ্ণ বাবু আসিবার পর বৎসরই দরবার স্কুলের ভূতপূৰ্ব্ব প্রিন্সিপাল সর্দার কেদারনাথ চট্টোপাধ্যায় নেপাল-প্রবাসী হন । এ রাজ্যে ইংরেজী শিক্ষা বিস্তার এবং দরবার স্কুল ও সংস্কৃত কলেজ সংস্থাপান বিষয়ে डिमिट्टे প্ৰথম প্ৰবৰ্ত্তক । নেপালের প্রধান সেনাপতি প্রমুখ আধুনিক রাজপরিবারের উচ্চ পদস্থ সন্ত্রান্ত নেপালীদিগের সকলেই তাহার ছাত্র। র্তাহার বাড়ী কলিকাতা তালতলা নিয়োগীপুকুর। তিনি ১৮৪৭ অব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং হিন্দুস্কুল ও প্রেসিডেন্সী কলেজে অধ্যয়ন করিয়া ১৮৭১ অব্দে বি, এ, এবং পর বৎসর বি, এল, পরীক্ষায় উত্তীণ হন। এই সময় নেপালের প্রধান মন্ত্রী মহারাজা সার জঙ্গ বাহাদুর এবং তঁহার ভ্রাতা।
