পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৬৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

११७ বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী । রাজকৃষ্ণ বাবু স্কুলটির স্থাপনা ও উন্নতি সাধনের জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেন। তিনিই এরাজ্যে সর্বপ্রথম শরীর ব্যবচ্ছেদ আরম্ভ করেন। এই বিদ্যা এরাজ্যে তখন একপ্ৰকার অজ্ঞাতই ছিল । প্ৰথম ব্যবচ্ছেদের দিন মহারাজা স্বয়ং তথায় উপস্থিত ছিলেন। সরকারী কাগজ পত্রে এই ঘটনা লিপিবদ্ধও হইয়াছিল। কলিকাতা মেডিকেল কলেজেও মধুসূদন গুপ্ত যখন প্রথম শব-ব্যবচ্ছেদ করেন। তথন তোপধ্বনি হইয়াছিল, তাহা সাধারণে অবগত আছেন। রাজকৃষ্ণ বাবু একে একে । চিকিৎসা বিভাগের যাবতীয় বিভাগে কৰ্ম্ম করিবার পর ইনস্পেক্টর অফ সিভিল হস্পিটালস এবং চীফ মেডিকেল অফিসর পদে উন্নীত হন এবং নেপালের প্রধান মন্ত্রী ও প্ৰধান সেনাপতির সহযোগী চিকিৎসক হন । এক সঙ্গে এতগুলি পদ নেপালে ইতিপূৰ্ব্বে আর কেহ অধিকার করেন নাই। নেপালে পূৰ্ব্বে উক্ত পদ ছিল না। রাজকৃষ্ণ বাবুর উদ্যোগে সমস্ত চিকিৎসা বিভাগ পুনর্গঠিত হইবার পর এই পদের সৃষ্টি হয়। তিনি মেডিকেল স্কুল স্থাপনা, নেপালে শব-ব্যবচ্ছেদের প্রবর্তন, ও চিকিৎসা বিভাগের পুনর্গঠন দ্বারা নেপাল রাজ্যের বিলক্ষণ হিতসাধন করিয়াছেন। তিনি আর, একটী কাৰ্য্য করিয়া নেপালীদিগের প্রভৃতি উপকার করিয়াছেন। তাহার পূর্বে আর কোন বাঙ্গালী বা নেপালী তাহা করেন নাই। রাজকৃষ্ণ বাবু ਗੇ । (Anatomy) সম্বন্ধে পাৰ্ব্বতীয় ভাষায় একথানি সুবৃহৎ গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছেন। গ্ৰন্থখানি সহস্ৰাধিক পৃষ্ঠাব্যাপী এবং বহু চিত্র সম্বলিত। চিকিৎসা সম্বন্ধে গ্ৰন্থ লেখায় নেপালে, “ইনিই প্রথম। হঁহার কৰ্ম্মক্ষেত্র যে কেবল চিকিৎসা বিভাগেই আন্ধা আছে তাহা নহে! মাতৃভাষা ও সাহিত্যের প্রতিও ঠাহার প্রগাঢ় শ্ৰদ্ধা । বঙ্গের বাহিরে র্যাহারা বঙ্গ সাহিত্যের চর্চা রাখেন। তঁহাদের মধ্যে রাজকৃষ্ণ বাবুর স্থান অন্যতম। র্তাহার প্রণীত “মালিনমুকুল” ও “রাজরাণী” নামক দৃশ্যকাব্য४वि डाशद्ध निर्भन । নেপালের বাঙ্গালী সমাজে অধ্যাপক বটকৃষ্ণ মৈত্র এবং ডাক্তার রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় এক্ষণে শীর্ষস্থানীয়। ডাক্তার মুখোপাধ্যায় এখানে দরিদ্রের বন্ধু, তাহাদের বিনা দক্ষিণায় চিকিৎসা করা ব্যবস্থা দেওয়া তাহার নিত্য কর্ত্যবোর মধ্যে পরিগণিত হইয়াছে। একবার পল্টনের কোন জমাদারের স্ত্রী স্বামীর অনুপস্থিতি কালে প্রসব করিতে না পারিয়া মুমূর্ত দশা প্রাপ্ত হয়। রাজকৃষ্ণ বাৰু সেই সংবাদ পাইয়া এবং সে সময় তাহার বাড়ীতে কেহ নাই জানিয়া সস্ত্রীক তাহার