পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“বিক্রমপুরের ইতিহাস প্রণেতা সাধারণের অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাজন হইয়াছেন। এরূপ বিদুষী রমণীদিগের মধ্যে কাশীবাসিনী হাটী বিদ্যালঙ্কারের পরিচয় স্বগীয়। রাজনারায়ণ বসু মহাশয় প্ৰদান করিয়াছেন। * । তিনি লিখিয়াছেন “হটী বিদ্যালঙ্কার” একজন বিদ্যাবতী বাঙ্গালী ব্ৰাহ্মণ-কন্যা। ইহঁর জন্মস্থান বৰ্দ্ধমান জেলার সোঞাই গ্রাম। ইনি বৈধব্য অবস্থায় বৃদ্ধ বয়সে কাশীতে টােল করিয়া। সভায় ন্যায়-শাস্ত্রের বিচার করিতেন ও পুরুষ ভট্টাচাৰ্য্যদিগের ন্যায় বিদায় লইতেন।” । 姆 · অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে কলিকাতা গোবিন্দপুরের প্রসিদ্ধ ধনী কন্দৰ্প নারায়ণ ঘোষালের পৌত্র মহারাজা জয়নারায়ণ ঘোষাল কাশীবাদী হন। ফোর্ট উইলিয়ম নিৰ্ম্মাণ কালে ইংরাজ গবৰ্ণমেণ্ট যখন গোবিন্দপুর লয়েন তখন কন্দৰ্প ঘোষাল খিদিরপুরে গিয়া নুতন বাস স্থাপন করেন। তঁহার দুই পুত্র কৃষ্ণচন্দ্র এবং গোকুলচন্দ্র। গোকুলচন্দ্র বাঙ্গালার গবর্ণর ভালেষ্ট সাহেবের দেওয়ান ছিলেন এবং প্ৰভূত সম্পত্তি অর্জন করিয়াছিলেন। ত্রিপুরােরাজ দুর্গামাণিক্য দেববৰ্ম্ম বাহাদুর একবার সদর দেওয়ানী মকদ্দমার সময় ইহার নিকট প্রভৃতি সাহায্য প্রাপ্ত হওয়ায় ১৮০৯ অব্দে তিনি ত্রিপুরার সিংহাসনারোহণ করিবামাত্র দেওয়ান গোকুলচন্দ্ৰকে একটা গ্রাম নিষ্কর দান করেন । এই ত্রিপুরােরাজই কাশীতে শিবস্থাপনা এবং মন্দির নিম্মাণ করান। ইনি ১৭৭৯ অব্দে পরলোকগমন করিলে ইহাঁর ভ্রাতপুত্র অর্থাৎ কৃষ্ণচন্দ্রের একমাত্ৰ পুত্র জয়নারায়ণ ঘোষাল সেই বিপুল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন । জয়নারায়ণ ১৫ বৎসর বয়সে বাঙ্গালী, সংস্কৃত, হিন্দি, ফারসী এবং ইংরেজী ভাষায় বুৎপন্ন হন। ইনি কিছুকাল সন্দীপের কানুনগো ছিলেন। এবং ১১৭২ সালে বাঙ্গালী বিহার উড়িষ্যার নবাব মবারক উদ্দৌলার অধীনে কৰ্ম্ম গ্ৰহণ করেন। তিন বৎসর পরে সে কৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া কলিকাতা পুলিশ সুপারিন্টেডেণ্ট মিঃ জন সেক্সপিয়রের সহকারীর পদ গ্ৰহণ করেন। গবৰ্ণমেণ্ট ইহার কার্য্যদক্ষতা এবং নানা সদনুষ্ঠানে এতদূর প্রীত হইয়াছিলেন যে লাটসাহেব হেষ্টিংস বাহাদুর দিল্লীর বাদসহ মহম্মদ জাহান্দর শাহের নিকট হইতে সনন্দ আনাইয়া দেন। তাহাতে ১১৮৮ সালে তিনি বাদশাহ কর্তৃক “মহারাজ রাহাদুর” উপাধিতে ভূষিত হন এবং তিনহাজারী ... * সেকাল ও একাল-পৃষ্ঠা ৫১, পাদটীকা। . . . . . . . gi