পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰন্থকারের নিবেদন । --- সন। ১৩০৮ সালের বৈশাখে বঙ্গের প্রসিদ্ধ মাসিক পত্ৰ “প্রবাসী৷” এলাহাবাদ হইতে প্ৰথম বাহির হয়। ইহার প্ৰেবৰ্ত্তক ও সম্পাদক শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, এম, এ, মহাশয় ঐ বৎসর প্রবাসীর আষাঢ় সংখ্যায় “প্রবাসী পদক” নামে একটী বিজ্ঞাপন বাহির করেন। তাহাতে ছিল,-“(ক) বিহারে বাঙ্গালী, (খ) উত্তর পশ্চিম প্ৰদেশ, অযোধ্যা ও পাঞ্জাবে বাঙ্গালী, (গ) মধ্যভারতে বাঙ্গালী এবং (ঘ) ব্ৰহ্মদেশে বাঙ্গালী এই চারিটী বিষয়ে সর্বোৎকৃষ্ট প্রবন্ধের জন্য চারিটি পদক দেওয়া যাইবে।” বিজ্ঞাপনে প্ৰবন্ধ লিখিবার নিয়মাবলীও মুদ্রিত ছিল, এই বিজ্ঞাপন দেখিয়া আমি (খ) চিহ্নিত বিষয়ে একটী প্ৰবন্ধ লিখি। উহা পদকের যোগ্য বিবেচিত হওয়ায় প্রবাসী সম্পাদক মহাশয় আমায় একটী সুবৰ্ণ পদক দান করেন। যথাসময়ে সে সংবাদ ও প্ৰবন্ধ “প্রবাসী”তে প্ৰকাশিত হইয়াছিল। এই সময় বিশিষ্ট ব্যক্তিগণের জীবনী এবং ঐতিহাসিক ও ভ্রমণ বিষয়ক গ্রন্থ পত্ৰাদি পাঠ এবং স্থানীয় অনুসন্ধান করিবার কালে, প্রবাসী বাঙ্গালীর ইতিহাস যে বহু প্ৰাচীন ও বিস্তীর্ণ তাহা বিলক্ষণ উপলব্ধি করি। নানাকারণে ইহাও বুঝিতে পারি যে বঙ্গের প্রকৃত ইতিহাস এবং বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালীর কীৰ্ত্তি কাহিনী বাঙ্গালী দ্বারাই রক্ষিত হইবে। অপর কেহ তজ্জন্য মাথা ঘামাইবে না। এই সময় বঙ্গের লব্ধপ্রতিষ্ঠ ঐতিহাসিক শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত অক্ষয়কুমার মৈত্ৰেয় মহাশয় “প্রবাসী”কে লক্ষ্য করিয়া লেখেন -“বাঙ্গালীর ইতিহাস নাই, সুতরাং বাঙ্গালীর কীৰ্ত্তিকাহিনী সাধারণে সুপরিচিত নহে। বৰ্তমানযুগে বাঙ্গালী নানাদেশে বাসস্থান নিৰ্ম্মাণ করিতে বাধ্য হইয়াছে। যাহারা প্ৰবাসী তাহারা ভিন্ন দেশ, ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন আচার ব্যবহার জড়িত হইয়াও আপন স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করিয়া কত ভাবে আত্মপ্রতিভার পরিচয় প্রদান করিতেছে, এত দিনের পর তাহার কাহিনী সঙ্কলিত হইবার উপায় হইল।” অতঃপর ঐ পত্রিকায় প্রবাসী বাঙ্গালী সম্বন্ধে আমার কয়েকটা ধারাবাহিক প্রবন্ধ পাঠ করিয়া তিনি একখানি পত্রে লিখিয়াছিলেন,-“ * * প্রবাসী কে কোথায়