\98 · বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী একবার সাক্ষাৎ করিতে আসিলে, তর্কপঞ্চানন মহাশয় আনন্দোচ্ছাসে বলিয়াছিলেন, আজ দ্রোণের আবাসে অৰ্জ্জুন আসিয়াছেন।” দুঃখের বিষয় বঙ্গের মহা মহা পণ্ডিতগণ এতদঞ্চলে বহুকাল হইতে প্রবাসী হইয়াছেন, কিন্তু অৰ্জ্জুনের ন্যায় শিষ্যের অভাবে আজি আর র্তাহাদের সন্ধান পাওয়া দুষ্কর হইয়া পড়িয়াছে। তর্কপঞ্চানন মহাশয়ের অন্যতম শিষ্য স্বৰ্গীয় মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত মহেশচন্দ্র ন্যায়রত্ন, সি, আই, ই, শেষ জীবনে এতদঞ্চল-প্রবাসী হইয়াছিলেন। ন্যায়রত্ন মহাশয়ের জ্যেষ্ঠপুত্র ৬ মন্মথনাথ ভট্টাচাৰ্য্য এম, এ, মহাশয় কিছুকাল এপ্রিদেশের ডেপুটী একাউণ্টেণ্ট জেনারেলের সম্মানিত পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন বিলুপ্ত চতুষ্পাঠী-সকলের মধ্যে শ্যামাচরণ ভট্টাচাৰ্য্য বিদ্যারিত্বের চতুষ্পাঠীর সুনাম ছিল। এতদ্বতীত অধুনাবিলুপ্ত আরও একটা চতুষ্পাঠী এখানে ছিল। প্রায় শতবর্ষ পূর্বে ৬যাদবেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় বঙ্গদেশ হইতে আসিয়া বাঙ্গালীটােলা দেবনাথপুৱায় বাস করিতে থাকেন। তঁহার পুত্ৰ ৬/রাখালদাস চট্টোপাধ্যায় সূৰ্য্যসিদ্ধান্ত উক্ত চতুষ্পাঠী প্রতিষ্ঠিত করেন। কাশীর বাঙ্গালীটােলা স্কুল যখন প্ৰতিষ্ঠিত হয় তখন তিনি তাহার কাৰ্য্যারম্ভের সময় যোগ দান করিয়াছিলেন। তিনি বারাণসী কলেজে অধ্যয়ন করত জ্যোতিষের উচ্চ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া সুৰ্য্যসিদ্ধান্ত উপাধি প্ৰাপ্ত হন। এবং কলেজের অধ্যাপক ৬/ বেচারাম সার্বভে অবসর গ্ৰহণ করিলে তিনিই তাহার স্থলাভিষিক্ত হন। তাহার ছাত্ৰগণের মধ্যে অনেকেই কৃতী হইয়াছেন। তন্মধ্যে প্ৰসিদ্ধ বিজ্ঞানাচাৰ্য্য রায় বাহাদুর অভয়চরণ সন্ন্যাল এম, এ, মহাশয় ঐ কলেজেই বহুদিন সুনামের সহিত অধ্যাপনা করিয়া এক্ষণে অবসর গ্ৰহণ করিয়াছেন। অবসর লইয়াছেন বলিয়া তিনি আলস্যে দিন কাটাইতেছেন না। এক্ষণে তিনি সাধারণের হিতকর যাবতীয় অনুষ্ঠানেই যোগদান করিতেছেন। তিনি এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো, মিউনিসিপাল কমিশনার, অনরারি ম্যাজিষ্ট্রেট, বাঙ্গালীটােলা স্কুল সমিতির সভাপতি এবং কেমিকেল সোসাইটীর সদস্য (F. U. S. )। বুদ্ধবয়সেও এত কাজের উপর আবার তিনি সেণ্টাল হিন্দু কলেজে অবৈতনিক বিজ্ঞানাধ্যাপকের কার্য্য করিতে স্বীকার করিয়াছেন। তাহার গুরুপুত্র বাবু ভীমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বিদ্যাভূষণ আবার তীহার ছাত্র। সূৰ্য্যসিদ্ধান্ত মহাশয়ের কনিষ্ঠপুত্র এই ভীমবাবু কাশীর মিFগোষ্ঠী হইতে প্ৰচারিত সংস্কৃত পত্রিকায় প্ৰবন্ধ fift, “Economic Botany οί