পাতা:বঙ্গে বর্গী - নিশিকান্ত বসু রায়.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় দৃশ্য বঙ্গে বৰ্গাঁ Nò) মুস্তাফা। কি শঙ্কা মির খার। আমি এই তরবারি হাতে ক’রে । শপথ ক’স্বছি যে, আমার শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে মির খাঁর অঙ্গে কঁটািটী বিধিতে দেব না। কেন আপনারা বৃথা বিভীষিকা দেখছেন। জানকী । মারাঠা সর্দার পর্য্যাপ্ত আহাৰ্য্য ও পানীয় পাঠিয়েছেন। মুস্তাফা। বটে-বাটে-তার সৌজন্যে তৃপ্ত হ’লেম । ধন্যবাদের সঙ্গে • এখনই সে সব ফেরত পাঠিয়ে দিন উজির সাহেব। কেউ যেন তার এক কণাও স্পর্শ না করে। জাহাপনা, আদেশ দিন-আমি মারাঠাদের আক্ৰমণ করি । আলি । আক্রমণ ক’য়বে-তাই ত । মুস্তাফা ।। শুনুন জাহাপনা-আমি মারাঠাদের আক্ৰমণ ক’য়াবইআপনার ইচ্ছা হয়, আপনি তাদের অর্থ দিতে পারেন । কি বলেন খাসাহেব। মিরজাফর । ই, আক্রমণ ত ক’রতেই হবে । আলি । আমি আর ভাবতে পারি না। আমার ধারণা শক্তি যেন লুপ্ত হ’য়ে গেছে। মসনদের পরম হিতৈষী তোমরা সব-যা ইচ্ছা ক’লতে পার। আমার নিকট কিছু জিজ্ঞাসা ক’বুবার প্রয়োজন নেই। মুস্তাফা ৷ উত্তম, আসুন-আপনাকে শিবিরে রেখে আসি । আমুনাহারে অনিদ্রায় আপনাকে বিশেষ কাতর দেখাচ্ছে। আলি । কাতরা । ( মান হাসি হাসিলেন ) মুস্তাফা। চলুন জনাব । আলি ৷ এস সিরাজসিরাজ। আপনি যান দাদুসাহেব, আমি যাচ্ছি। মুস্তাফা। খাসাহেব, আপনি এই মুহুৰ্ত্তে সৈন্যদের শ্রেণীবদ্ধ হ’তে আদেশ দিন গে । জাহাপনাকে শিবিরে রেখে আমি আপনাদের সঙ্গে মিলিত হব। আসুন জাহাপনা এক দিকে মিরজাফর ও অপর দিকে আলিবর্দি ও মুক্তাকার গ্ৰন্থান