পদাবলী—চণ্ডিদাস—১৪শ শতাব্দী । o సాJసి ফুলের গেডুয়া (১) ধরয়ে লুফিয়া সঘনে দেখায় পাশ (২) । শ্ৰীমুখ হইতে বসন খসয়ে মুচকি মুচকি হাস ॥ চরণ-কমলে মল্পজটোডর (৩) সুরঙ্গ (৪) যাবক (৫) রেখা। কহে চণ্ডিদাস হৃদয়ে উল্লাস পুন কি হইব দেখা ৷ ( R ) কনক-বরণ কিয়ে (৬) দরপণ নিছনি যাইব তোর। (৭) কপাল ললিত সিন্দুর শোভিত চাদ অরুণা কোর ॥ (৮) সখি কিবা সে মুখের হাসি। হিয়ার ভিতরে কাটিয়া পাজরে মরমে রহিল পশি ॥ যমুনার তীরে বসি তার নীরে পায়ের উপরে পা। অঙ্গের বসন করিয়া আসন সে ধনী মাজিছে গা ॥ কিবা সে দুগুলি (৯) শঙ্খ ঝলমলি সরু সরু শশি-কলা (১০)। মাজিতে উদয় মুখ স্থধাময় দেখিয়া হইলু ভোর (১১) ॥ সিনিয়া (১২) উঠিতে নিতম্ব-তটিতে (১৩) পড়াছে চিকুররাশি। কান্দিয়া আঁধার কনক চাদার শরণ লইল আসি ॥ (১৪) চলে নীল সাড়ী নিঙ্গাড়ি নিঙ্গাড়ি পরাণ সহিতে মোর। (১৫) সেই হইতে মোর হিয়া নহে থির মনমথ-জরে ভোর ॥ কহে চণ্ডিদাস বাশুলী (১৬) আদেশে শুনহ নাগর চান্দা (১৭) । সে যে বৃষভানু-রাজার নন্দিনী নাম বিনোদিনী রাধা ॥ (১) বলের দ্যায় ফুলের স্তবক। (২) পাশ্বদেশ, বক্ষ। (৩) বাকা মল। (৪) সুন্দর বর্ণ। (৫) আলতা । (৬) কিবা । (৭) স্বর্ণবর্ণ মুকুর যাহার নিচুনী । (৮) কপালে চন্দন এবং সিন্দুর উভয় থাকাতে কবি বলিতেছেন যেন অরুণের ক্রোড়ে চন্দ্র উদয় হইয়াছে। (৯) দুই সারি। (১০) সরু সরু শুভ্রবর্ণ শাখা চন্দ্র-রেখার সহিত উপমিত হইয়াছে। (১১) বিভোর। (১২) স্নান করিয়া। (১৩) তটিতে = সীমান্তে । (১৪) আঁধার যেন কান্দিয়া স্বর্ণ-বৰ্ণ চাদের শরণ লইল। কৃষ্ণবর্ণ চুল হইতে জল পড়িতেছিল, এই জন্ত অন্ধকারের ক্ৰন্দন স্থচিত হইয়াছে। (১৫) নীল সাড়ীর সঙ্গে যেন আমার প্রাণও নিঙ্গড়াইতে নিঙ্গড়াইতে চলিতেছে। (১৬) চণ্ডিদাস বাশুলী দেবীর আদেশে পদরচনা করিয়াছেন, বলিয়া জানাইয়াছেন। তিনি বাশুলী দেবীর মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন। বাশুলী’ শব্দ ‘বিশালাক্ষী’ শব্দের অপভ্রংশ বলিয়া কেহ কেহ মনে করেন, কিন্তু তাহা ভুল। (১৭) চণ্ডিদাস অনেক স্থলেই চাদ শব্দের স্থলে “চান্দা” শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন। > RR