পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পদাবলী—বিবিধ পদকর্তা–১৫-১৮শ শতাব্দী । రిసిగి কান্দয়ে নিন্দুক সব করে হায় হয়। এইবার নদিয়ায় আইলে ধরিব তার পায় ॥ ন জানি মহিমা দোষ করিয়াছি কত । এইবার নাগালি পাইলে হব অতুগত ৷ দেশে দেশে কত জীব তরাইলে শুনি । চরণে ধরিলে দয়া করিবেন আপনি ॥ না বুঝিয়া কহিয়াছি কত কুবচন। এইবার পাইলে তার লইব শরণ ॥ গৌরাঙ্গের সঙ্গে যত পরিষদগণ । তারা সব গুনিয়াছি পতিত-পাবন ॥ নিন্দুক পাষণ্ডী যত পাইল পরকাশ। কান্দিতে কান্দিতে কহে বৃন্দাবন দাস ॥ রঘুনাথ দাস । ইনি সপ্তগ্রামের অধিপতি প্রসিদ্ধ গোবৰ্দ্ধন দাসের পুত্র। বিশেষ বিবরণ “বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে”র ৩৬৯ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য। আর এক কহি কথা সহোদর বন্ধু সখা দুই চারি জন মোর আছে। কহি শুন তার কথা পাছে হেট কর মাথা ননী চুরি কর যার কাছে। যত সব গোপ-নারী লইঞা দধির পসারি মথুরার দিকে যায় তারা। পথ আগোরিয়া রও দধি দুগ্ধ কাড়ি খাও একি তোমার আমুচিত ধারা ॥ নারীগণ স্নান করে বসন রাথিয়া তীরে চুরি করি রহ লুকাইয়া। বাজাইয়া মোহন বঁাশী কুলবধু কর দাসী কথা কহ হাসিয়া হাসিয়া ॥ খাওয়াও পরের খন্দ (১) এখনি করিব বন্দ লইয়া যাব কংসের গোচরে। দাস রঘুনাথে কয় শুনিতে লীগএ ভয় চমকিত হইল যদুবীরে। বংশীবদন । ইহার বিবরণ “বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে”র ৩০৮ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য। রাই সাজে বাশী বাজে না বাধিল চুল। কি করিতে কি না করে সব হৈল ভুল ৷ মুকুরে আঁচড়ে (২) রাই বান্ধে কেশ-ভার। পায়ে বাধে ফুলের মালা না করে বিচার ॥ (১) শস্ত (২) চিরুণী দিয়া চুল না আঁচড়াইয়া আয়না দিয়া আঁচড়াইল । > ○げ