পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণব-চরিতাখ্যান—গোবিন্দদাস—১৫১০-১৫১১ খৃঃ । > >8s এই কথা লম্বে সবে করে কাণাকাণি । দর্শন-মানসে আসে কত শত জ্ঞানী ॥ একজন ব্রহ্মবাদী নিকটে আসিয়া । ব্ৰহ্মবাদীর সঙ্গে তর্ক । তুলিল অদ্বৈতবাদ চৈতন্ত হাসিয়া ॥ - * বেদ-বেদান্তের কথা শাস্ত্রের প্রমাণ । বলিয়া বুঝান তারে শুনিয়া অজ্ঞান ৷ প্রভুর মহিমা পরে দেশে প্রচারিল। নানা লোক আসি ক্রমে যুটিতে লাগিল। এ দেশের রাজা কত আগ্ৰহ করিয়া । প্রভুকে লইতে দিলা লোক পাঠাইয়া ॥ রাজ-দূতকে প্রত্যাপ্রভু বলে সেথা মোর নাহি প্রয়োজন । খ্যান । বিষয়ীর কাছে আমি না করি গমন ॥ রাজ-দূত বলে শুন সন্ন্যাসী-ঠাকুর। কেন নাহি বাবে পাবে সম্পত্তি প্রচুর ॥ বস্ত্ৰ-অলঙ্কার আদি ষাহা তুমি চাবে। তথা তুমি অনায়াসে সেই ধন পাৰে ॥ দূত-মুখে অভিপ্রায় ভাবেতে বুঝিয়া । কহিতে লাগিল৷ তবে তারে বুঝাইয়া ॥ ঈষৎ হাসিয়া প্রভু বলিলা বচন । শুন রাজ-দূত ধনে নাহি প্রয়োজন। বিষয়ের কীট যারা তাদের সংস্রবে। কতু নাহি যাই মুঞি কি হবে বিভৰে ॥ বিষয়ের কীট করে ধনে অভিলাষ । অনর্থের মূল ধন এইত বিশ্বাস ॥ ধন-মদে মত্ত যারা ভুলি তত্ত্ব-কথা । বিষয়-নরকে তারা থাকল্পে সৰ্ব্বথা ॥ অনিত্য শরীর ধনী ইহা নাহি জানে। জীবনের সার্থক বলিয়া ধনে মানে ॥ এই কথা শুনি তবে দূত করি ক্রোধ। দূতের ক্ৰোধ। রাজ-দ্বারে চলি গেলা দিতে প্রতিশোধ ॥ রাজার আগমন । দূত-মুখে বার্তা শুনি রাজা রুদ্রপতি। ভক্তি-ভরে বাহিরিয়া আসে শীঘ্ৰগতি ৷