পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণব-চরিতাখ্যান—গোবিন্দদাস—১৫১০-১৫১১ খৃঃ। Ꮌ Ꮌ©Ꮌ হরি-নামে যার চক্ষে বহে অশ্র-ধারা । সেই জন হয় মোর নয়নের তারা ॥ দেখিয়া তোমার ভক্তি রাজা মহাশয় । জুড়াল আমার প্রাণ জানিহ নিশ্চয় ॥ এত বলি মহারাজে বিদায় করিয়া । স্নান করিবারে প্রভু গেলেন চলিয়া ॥ বহুতর ফলমূল রাজা পাঠাইল । আহ্নিক করিয়া প্ৰভু ভোগ লাগাইল । লোক জন রাখি রাজা প্রভুর সেবায়। প্রফুল্ল অন্তরে রাজধানী চলি যায় ৷ কেহ ফলমূল আনে কেহ আনে আটা। কেহ চুণা আনি দেয় অতিথির বাট । বিশ্বম্ভর (১) লাগি লোক করে হানাপান । মাঝে মাঝে বহু লোক আসি দেয় থান ॥ যার যাহা ইচ্ছা হয় আনিয়া যোগায়। ভাল মন কিছু নাহি কহে গোরা-রায় ॥ - বেশ বারমুখীর উদ্ধার। 事 豪 彎 事 ঘোগী (২) নামে গণ্ডগ্রামে আসিয়া পৌছায় । বারমুখী নামে বেশু থাকে এই ঠাই। তাহার ধনের কথা কহিবারে নাই ৷ বেশু-বৃত্তি করি সাধিয়াছে বহু ধন। বহুমূল্য হয় তার বসন-ভূষণ ॥ প্রকাগু বাড়ীর মধ্যে বারমুখী থাকে। হরিতে ধনীর ধন ফিরে পাকে পাকে ॥ পেশয়াজি পরিধানে ডগমগি চায় । কত শত কামাচার তার গৃহে যায়। বহু দাস-দাসী লয়ে থাকে এইখানে । জাক-পশারের কথা সৰ্ব্বলোকে জানে। (১) চৈতন্তের সন্ন্যাস-গ্রহণের পূর্বাবস্থার নাম। (২) আহামাদাবাদের নিকট ও শুভ্ৰামতী নদীর তীরে । এই গ্রামের নাম পোষ্টাল গাইডে আছে।