পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণব-চরিত্যখ্যান—নিত্যানন্দ –১৬শ শতাব্দীর মধ্যভাগ । ):్చరిల ঠাকুর বসিলা ডোর খুলিঞা পুস্তকের। আরম্ভ করিতে ওর নাহি আনন্দের ৷ সে মুখের অর্থ শুনি পাষাণ মিলায়। রাজা কান্দে হস্ত মারে আপনা মাথায় ॥ রূপ নিরখয়ে রাজা চাহে মুখ-পানে। হেন পাতকীরে কৃপা করিব কোন জনে ॥ রাত্রে নিদ্রা নাহি কহে এক মহাশয় । শ্ৰীনিবাসের কর যাই চরণ-আশ্রয় ॥ শ্ৰীনিবাস কার নাম কেবা তারে জানে। আজি আসিয়াছেন রহেন তোমার ভবনে ॥ হেন কভু নাহি শুনি দেখিয়া স্বপনে। কাহারে কহিব কেবা কহিবে কারণে ॥ যত অর্থ করেন ঠাকুর রাজা কখন না শুনে। বুকে করাঘাত মারে চাহে মুখ-পানে ॥ না পড়িল গ্রন্থে ডোর দিলেন তথায় । বসিয়াছে রাজা কান্দে করে হায় হায় ॥ পণ্ডিত শুনিল সব যত অর্থ করে । হেন নাহি শুনি কৰ্ভু ভুবন-ভিতরে ॥ নিরর্থি রূপের শোভা কান্দয়ে পণ্ডিত । ঝরএ নয়ন-নীর পড়এ ভূমিত । দেখিয়া ঠাকুর স্তন্ধ কিছু নাহি কয়। রাজা উঠি প্রণমিঞা কিছু নিবেদয় ॥ ঠাকুর কোথা হৈতে হৈল তোমার আগমন । কিবা নাম কহ শুনি স্থির হৌক মন ॥ শ্ৰীনিবাস নাম আইল বৃন্দাবন হৈতে। লক্ষ গ্রন্থ ত্ররূপের প্রকাশ করিতে ॥ গৌড়দেশে লৈয় তাহা করিব বিস্তার। চুরি করি নিল কেবা জীবন আমার ॥ যাহার লাগিয়া ভ্ৰমি কত দেশ বনে । শয়ন ভোজন গেলা অন্ত নাহি মনে ॥ মোর প্রভু শ্ৰীগোপাল ভট্ট তার নাম। ঐঞ্জীব গোসাঞি মোরে জাঙ্ক দিল দশন ॥