পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণব-চরিতাখ্যান-ভক্তি-রত্নাকর—১৬১৪-১৬২৫ খৃঃ। ১২৫৩ o এ বাক্য শ্রবণে মনে জন্মিল উল্লাস । ঐছে আর দেখে নানা মঙ্গল-প্রকাশ । প্রভূ-ভঙ্গি জানি সবে করিয়া আশ্বাস । শ্ৰীনরোত্তমের প্রতি কহে শ্ৰীনিবাস ॥ থেতরি গ্রামেতে শাস্ত্ৰ করিয়া গমন । প্রভু লোকনাথ-আজ্ঞা করহ পালন ॥ শু্যামানন্দে পাঠাইবা সুসঙ্গতি মতে । অম্বিকা হইয়া যাইবেন উৎকলেভে । পাঠাইব সমাচার গ্রন্থ প্রাপ্ত হৈলে । নহিব উদ্বিগ্ন আসি মিলিব সকালে । ঐছে কত কহি দোহে বিদায় করিল। দোহে যে ব্যাকুল তাহ বণিতে নারিল আচার্য্যের বাক্য না লঙ্ঘিয়া দুই জন । গেলেন খেতরি গ্রামে স্থির নহে মন । কে বুঝিতে পারে মহাশয়ের এ লীলা । প্রথমেই শ্ৰীসন্তোষে শক্তি সঞ্চারিলা ॥ শ্ৰীনরোত্তমের দর্শনেতে সৰ্ব্বলোক । মহাহৰ্ষ হৈলা পাসরিল দুঃখ শোক ॥ মহাযত্নে দোহে রাখি পরম নির্জনে । গ্রন্থ-চুরি কথা শুমি দুঃখী বিজ্ঞগণে ॥ এথা শ্রীনিবাস দোহে বিদায় করিয়া । প্রীনিবাসের বনহইলেন ব্যাকুল ধরিতে নারে হির । বিষ্ণুপুরে গমন। সঙ্গের মনুষ্যগণে অস্ত্যন্ত্র রাখিল । বনবিষ্ণুপুরে এক শীঘ্র প্রবেশিল । মহান্তের হৃদয় বুঝিবে কোন জন । গ্রন্থের উদ্দেশে করে একাকী ভ্রমণ ॥ যেখানে সেখানে লোক কহে পরস্পরে। অপূৰ্ব্ব পুরুষ এক আইলা বিষ্ণুপুরে। কিবা এ দেবতা কিবা ঈশ্বরের অংশ। দেখিতে সৌন্দৰ্য্য কার নহে ধৈর্য্য-ধ্বংস ॥ এত কহি আচার্য্যের দর্শন লাগিয়া। চতুর্দিকে ধায় লোক উল্লাস হুইয়া ॥