পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৫৬ বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । ভক্তে মুখ দিতে নীলাচলে কৈল বাস। তথা চলাচল ব্রহ্মের অদ্ভূত বিলাস। তার প্রিয় ভক্ত গৌড় রাজার উজীর। মহৈশ্বৰ্য্যবস্তু মহাপণ্ডিত গভীর ॥ রূপ সনাতন নাম বিদিত ভুবনে । সৰ্ব্বত্যাগ করিয়া গেলেন বৃন্দাবনে ॥ তথা বাস কৈলা মহাপ্রভুর আজ্ঞাতে। ব্রজে লুপ্ত তীর্থ উদ্ধারিলা শাস্ত্ৰ-মতে ॥ বর্ণিল অনেক গ্রন্থ অমিয়া-পাথার । উঘালিলা ব্ৰজ-লীলা রত্বের ভাণ্ডার ॥ শ্ৰীমদভাগবতার্থাদি প্রকাশিলা যত। তাহা এক মুখে আমি কহিব বা কত ॥ মুই মহা অযোগ্য জন্মিয়া গৌড়দেশে । বৃন্দাবন গেলু প্রভুগণের আদেশে ॥ শ্ৰীগোপাল ভট্ট গোস্বামীর শিষ্য হৈলু। গোস্বামীর গ্রন্থাদিক অধ্যয়ন কৈলু। শ্ৰীজীব গোস্বামী আদি মহাবিজ্ঞগণ । গৌড়ে গ্রন্থ প্রকাশিতে কৈল সমৰ্পণ ॥ সাবধানে লইয়া আইলু এই দেশে। কথো দূরে গ্রন্থ-চুরি হৈল রাত্রি-শেষে । সবে মিলি কৈলু ইতস্ততঃ অন্বেয়ণ । অনেক প্রকারে কৈলু ধৈৰ্য্যাবলম্বন ॥ নরোত্তম নামে এক রাজার কুমার। পরম বৈরাগ্য সৰ্ব্বশাস্ত্রে অধিকার ॥ শ্ৰামানন্দ নামে এক প্রবীণ সৰ্ব্বাংশে। সে দোহারে পাঠাইলু নিজ নিজ দেশে । সঙ্গে যে আছএ ব্ৰজবাসী অস্ত্রধারী। সে সবে রাখিলু এক স্থানে বাসা করি । গ্রন্থ লাগি সৰ্ব্বত্রই ভ্রমণ করিলু। পুরাণ-পাঠের কথা শুনি এথা আইলু। কহিলু বৃত্তান্ত কিছু কহিতে কি আর । গ্রন্থ আদর্শনে ছিম্বা বিদ্যুর আমার ॥