পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬৬ প্রতীপ রুদ্রের বাসুদেব সাৰ্ব্বভৌমকে আহবান । রাজ-সভায় বাসুদেব । রাজার চৈতন্ত্যদর্শনেচ্ছা। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । শীঘ্র আমি জগন্নাথ দর্শন করিঞা । আসি বলি গোপীনাথ চলিল ধাইঞা ॥ সাৰ্ব্বভৌম হেথা মনে করেন বিচার। কিরূপে গৌরাঙ্গ দেখা পাইব ভূপাল ॥ হেন কালে রাজদূত আইল ধাইঞা। ভট্টাচার্য্যে কহে আসি প্রণাম করিঞা ॥ শুন ভট্টাচাৰ্য্য মোরে পাঠাল্য ভূপতি। র্তার আজ্ঞা তার কাছে চল শীঘ্ৰগতি ॥ শুনি ভট্টাচাৰ্য্য মনে করেন বিচারে । অসি মাত্র রাজা কেনে বোলায় আমারে ॥ এত বলি সাৰ্ব্বভৌম শীঘ্ৰগতি চলে । দূরে হৈতে রাজারে দেখিল সভাতলে । উত্তম মন্দির তাতে দিব্য চন্দ্ৰাতপ । সোপাধান চিত্ৰকস্থা কুসুম-সৌরভ । তারপর বিচিত্র পড়ের সুবিছান। তাথে বসিয়াছে রাজা ইন্দ্রের সমান ॥ চতুৰ্দ্দিগে পাত্ৰগণ দেব-পরিচ্ছদ । কে কহিতে পারে তার রাজত্ব-সম্পদ ॥ বাক-প্রয়োগ নাহি কারো মৌন করিঞাছে। রাজার অন্তরে অতি আনন্দ উঠিছে। এবে আমি দেখিব চৈতন্ত্য-শ্ৰীচরণ। এত ভাবি রাজার আনন্দযুত মন ৷ ভট্টাচাৰ্য্য হেন কালে গেলা সভা-স্থানে । আনন্দে আছেন রাজা তাহো নাহি জানে ॥ উৎকণ্ঠিত রাজা মনে করিছে চিন্তন । কিরূপে পাইব কৃষ্ণচৈতন্ত-দর্শন ॥ রাজ্য-চেষ্টা করিবারে ইচ্ছা নাহি হয়। গৌরচন্দ্র বিনা মোর ব্যাকুল হৃদয় ॥ মুখ-ভোগ রোগ-সম হইল আমার। কাল হৈল কাল মোর সব অন্ধকার ॥ অতঃপর প্রভু মোরে না দেখে সৰ্ব্বথা । না ধরিব জীবন আমার এই কথা ॥