পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনন্দচন্দ্র দাস-রচিত চৈতন্ত্য-পার্ষদ জগদীশ পণ্ডিত-চরিত। জয় ভাগবতানন্দ প্রভু কৃপাময়। কৃপাকর মে পামরে হইয়া সদয় ॥ সৌভাগ্য সফল মোর হইল জনম। তেঞি দেখিলাম আমি সে রাঙ্গা চরণ ॥ উনত্রিংশে ভান্দ্রে আমি নিদ্রাতে কাতর। হেনকালে দেখিয় অপূৰ্ব্ব কলেবর ॥ সুবর্ণ জিনিয়া সেই চরণের শোভা । কোটি স্বৰ্য্য জিনি দেখি শ্ৰীঅঙ্গের আভা ৷ বদন সুন্দর দেখি চন্দ্র কলঙ্কিত। সে মহাপুরুষ মোর সাক্ষাত বিদিত ॥ হাসিয়া কহেন মোরে মধুর বচন। জগদীশ-চরিত্র তুমি করহ বর্ণন ॥ আমি মুখ কি বর্ণিব ভাবিত অস্তরে । ভয়ে ভীত হৈল চিত বাক্য নাহি ফুরে। ভীত দেখি পুরুষ-রতন কহে মোরে। আনন্দ কদাচ ভয় না কর অস্তরে ॥ ভাগবতানন্দ আমি নিশ্চয় জানিবে। অবশ্য আমার আজ্ঞা পালন করিৰে ॥ তোমার মুখেতে আমি করিব বর্ণন। ভক্তগণ করিবেন অবশু গ্ৰহণ ॥ কৃপা করি প্রভু মোরে এই আজ্ঞা কৈল । হেনই সময়ে মোর নিদ্রাভঙ্গ হৈল ॥ জাগি সেই মূৰ্ত্তি আর নহিল দশন । । আজ্ঞা-পালনের লাগি ব্যগ্র হৈল মন ॥ আত্ম-বার্তা গ্রন্থে লিখি হইয়া পাগল । ভাল মন্দ নাহি বুঝি প্রভু-আজ্ঞা বল ।