পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to অকিঞ্চন-কৃত জগন্নাথ-বল্লভ-নাটকানুবাদ । অকিঞ্চন দাস সপ্তদশ শতাব্দীতে রায় রামানন্দ-প্রণীত “জগন্নাথ-বল্লভনাটকের” অনুবাদ করেন। প্রতাপরুদ্রের বিক্রম । প্রতাপরুদ্রের নাম শুনি সেকন্দর। সৈন্ত-সহ প্রবেশিল নগর-ভিতর ॥ কলিঙ্গ-ভূপতি নাম করিয়া শ্রবণ। অশ্রুমুখ স্ববর্গেরে করে নিরীক্ষণ ॥ গুর্জর-ভূপতি দেখে আপনার রাজ্য। জরাগ্রস্ত সব জন বুঝিল অকাৰ্য্য। আপনার কার্য্যে দেখে গৌড়-ঈশ্বর। সিন্ধু-মাঝে নৌকা বাতে করে টলমল । প্রতাপে প্রতাপরুদ্র হয়ে ইন্দ্র-সম । তাহার বিক্রম-রস করিল বর্ণন ॥ কৃষ্ণ ও মধুমঙ্গল । হেথা কৃষ্ণ বৃন্দাবনে করি প্রবেশন। বন তরু লতা সব করি নিরীক্ষণ। তরু-লতাগণ সব প্রফুল্ল হইঞা । শাখা সব পড়িয়াছে কুইঞা মুইঞা ॥ মধুমঙ্গলের কৃষ্ণকে হেন কথন। কমনীয় বৃন্দাবন করে দরশন। মধুমঙ্গলের বেণু শুনিতে ইচ্ছ। দেখ সখা বৃন্দাবনের তরু-লতাগণ । দিগে দিগে বিকশিত আনন্দিত মন ॥ মধুভরে মত্ত ঐ কর দরশন। তরু লতা দোহে করে রস-আলাপন ৷ দোহার পল্লবে দেখ একত্র মিলন। করে কর ধরি কহে রসের কথন ॥ কুহু কুহু ধ্বনি করে মত্ত পিকগণ । পিক-শব্দ নহে শুন দোহার কথন ।