পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ অনুবাদ—গরুড়-পুরাণ–১৮শ শতাব্দীর প্রথম ভাগ। ১৩৪৯ মোর আজ্ঞা না মানিঞা নাহি দিলে ধন ৷ এখনি খড়েগতে তোর লইব জীবন। এত বলি দ্বিজে কৈল খড়েগর প্রহর । দুইখান হয়্যা বিপ্ৰ হইল সংহার। ঘরে ছিল যত ধন লইয়া সত্বরে। ত্বরিত গমনে গেলা আপনার পুরে। ব্ৰহ্মহত্যা বসুমতী সহিতে না পারি। আমার নিকটে আসি করিলা গোহারি (১)। অতএব হয়্যা ভূগুরাম-অবতার। নিক্ষেত্ৰী করিনু ক্ষিতি তিন সাতবার ॥ ক্ষেত্ৰী বলি পৃথিবীতে কেহ না রহিল। ক্ষেত্রী-রক্তে পৃথিবীরে স্নান করাইল ॥ গোবিন্দদাসের গরুড়-পুরাণ। অষ্টাদশ খৃষ্টাব্দের প্রথম ভাগে রচিত। ( শ্ৰীযুক্ত হরগোপাল দাস কুণ্ডু-সংগৃহীত। ) কবি গোবিন্দদাসের নিবাস কুচবিহার। কথাত আচিল গুরু কে করিল প্রচার। কি মতে ভজিচ গুরু কি নাম তাহার ॥ বিজ্ঞ বলে স্বৰ্গপতি তুমি মহাজন। মন দিয়া শুন তুমি আমার বচন ॥ না চিল (১) স্বৰ্গ মত্ত তবে না চিল পাতাল। না চিল শীতল বাউ (২) রবি-কর-জাল ॥ চন্দ্র স্বৰ্য্য না চিল নৈক্ষত্র তারাগণ । ইন্দ্র না চিল তবে যত দেবগণ ॥ (১) সকাতর প্রার্থনা। (১) চিল=ছিল। (২) বাউ = বায়ু।