পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)99e বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । দারুণ তুরন্ত বনে বজ্রদন্ত বুড়া । মাথাটা ডাগর যেন পাচ কাঠা পুৱা। লাফ দিয়া ডিঙ্গায় দশ বার কাঠা। তত কি এখন পারি বয়সেতে ভাটা ॥ ধূলায় সঞ্চার বনে অপরূপ এই | মোরে কি দেখিতে পায় সংসারের কেই ॥ গা-ছাড়া মারিলে হই পৰ্ব্বত দেউল। চুপকি মারিলে হয় ক্ষুদিয়া নেউল ॥ (১) ভূতলেতে আমার নামেতে হাড়ী ফাটে। খঙ্গ যেন খর-ধার ছতে মাছি কাটে। সমুখে পড়িয়া যায় গরু কিবা নর। যাহারে তোমার কৃপা তারে কিসের ডর ॥ হেন কালে হীরা বলে হাত করি যোড়া । আধা জলপান মোর মহিষের গোড়া ॥ গলা গল পেট যদি ভরি মাংস খাইয়া । এক হাই ছাড়িলে ফুরায় পাক পাইয়া ॥ কবি কৃষ্ণরাম বলে সরসের সার। বলিতে লাগিল সব বাঘ আর আর ॥ রূপ-চান্দা বলে শুন ভকত-বৎসল । সিংহের সহিত হইলে বুঝি বলাবল ৷ গণ্ডার কিসের মধ্যে হাতী কোন ছার। তৃণবৎ দেখি যেন বনের বয়ার। রুষে বলে নাকেশ্বরী দুর্জয়-প্রতাপ। পৰ্ব্বত ডিঙ্গাতে পারি দিয়া এক লাফ ৷ যত বৃক্ষ দেউল আমার পার নাব। সমুদ্র তরিয়া বল কোন দেশে যাব। কুমুর্য শুমুর্য বলে তার পর হাস্তা। হাড়ী মুড়ি দিয়া আমি জলে যাই ভাস্তা। (২) লাফ দিয়া নায় পড়ি বড় ভরা দেখে । করে বা যুকুতা বঁাচে মোর ঠাঞি ঠেকে। (১) বড় কোন শিকার মারিতে হইলে পৰ্ব্বত বা প্রাচীরের মত উচ্চ হই, চুপ করিয়া ক্ষুদ্র জিনিস শিকার করিবার সময়ে নকুলের মত ছোট হইয়া যাই। (২) একটা হাড়ীর ভিতর মুখ লুকাইয়া জলে ভাসিয়া যাই।