পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । কোটালের অনুগ্ৰছে শিশুমতি শুন ওরে রাজার নন্দন । পলায়ন । পলাইয়া যায় যদি পাইবে জীবন ॥ নৃপতিরে দিব আমি কাটিয়া শিয়াল । এই কথা বলি তোরে শুনরে ছাওয়াল । কুঙর বলে তবে কথা নাঞি আর । ধৰ্ম্মপিতা তুমি লহ জীবনের ভার। বনবাসে যাই যদি বাচায় বিধাতা। সুধিব তোমার গুণ শুন ধৰ্ম্মপিতা ৷ বিদায় হইয়া শিশু যায় বন-পথে । পুনর্জন্ম হৈল যেন মায়ের গর্ভেতে ॥ ক্ষুধা তৃষ্ণ নাঞি কভু মনে কদাচন। কন্তু বন-ফল পথে করয়ে ভক্ষণ ৷ কখন কখন থাকে পৰ্ব্বতের কোখে (১)। বনের ভল্লুক ছুঞে নাঞি তাকে ॥ 〉○b”と সেবকের দুঃখ দেখি দেবী সরস্বতী । বনেতে বাধিয়া কুঁড়া রহিলেন তথি ॥ বৃদ্ধ ব্রাহ্মণীর বেশে বসিয়া কুঁড়ায়। সেই পথে কুঙর কাঙ্গালি হুয়া যায়। ব্রাহ্মণী দেখিয়া শিশু নোয়াইল মাথা । আশীৰ্ব্বাদ কৈল তারে বিষ্ণুর বনিতা। কি নাম তোমার কহ কোন দেশে ঘর। কি কারণে বন-বাস কহরে কুঙর ॥ মর্যাছে বেতের বাড়ি বন্ধনের চিহ্ন । ভারতীর অতিথি। কুঙর বোলেন মাত কৰ্ম্ম বড় হীন ॥ শিশুকাল গেল পাঠ পড়িবার তরে। দ্বাদশ বৎসর দয়া ন হইল মোরে ॥ মুর্থ বলে মা বাপ কাটিতে দিল মাথা । কোতোয়াল কৈল রক্ষণ হৈয়া ধৰ্ম্ম-পিতা ৷ কেবল কপাল মূল কি জিজ্ঞাস আর । ব্রাহ্মণী বলেন বাছা এই দশা আমার ॥ বিভা-রাত্রে দধি অন্ন করিলু ভক্ষণ । সেই বাক্য ব্যর্থনহে বিধির লিখন ॥ (১) কক্ষে = গহবরে ।