পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᏬᏜb~ কুমারীদের বিলাপ। সরস্বতীর বৃদ্ধা-ব্রাহ্মণীর বেশে সান্তুনা-দান বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । ছয় মাসের পথ গেল দণ্ড ছয় সাতে। পূর্ণ করা বল হরি রজনী-প্রভাতে। কুলেতে বান্ধিয়া তরী বসিল কুঙর। চায়্যা চায়্যা পঞ্চ কন্ত ভাবে অতঃপর ॥ বিমলা বলেন দিদি বিধির লিখন। গঙ্গাজলে মেটিলে কি না যায় মেটন ॥(১) পূর্বের লিখন ছিল নফর হৈল পতি। ধূলাকুট্যা হৈয়া ধনী রাখিল খেয়াতি ॥ প্রতি দিনের খোটা তবে প্রাণে হৈল ডর। পুরুষের ঘর যেন পক্ষীর পিঞ্জর ॥ বিমলা বলেন জলে ঝাপ দিয়া মরি। জনাৰ্দ্দন দ্বিজ হৈল মো-সভার বৈরী ॥ কিশোরী বলেন তার নাম ধর কেন। পীরিতে বান্ধিয়া দ্বিজ বধিল জীবন ॥ জনম-দুঃখিনী মোরা জানকীর মত। যুবতীর হত্যা যে করিল এত ॥ কন্তার করুণা শুনি কোকিল-বাহিনী। বৃদ্ধ ব্রাহ্মণীর বেশে বিষ্ণুর ঘরণী ॥ মুছিল নয়ন-বারি নেতের বসনে। বিধুমুখী বসিয়া বুঝায় কস্তাগণে ॥ বিদর্ভ-নগরে রাজা বিষ্ণুঙ্কর ভূপে । রুক্মিণীর বিভা দেখ হৈল যেই রূপে ॥ সাবিত্ৰী শঙ্করী স্বামীর আজ্ঞাকারী। রাখালে ভজিল রাই রাজার কুমারী। পুরুষ পরশ-মণি ইথে নাহি দোষ। কুঙরে কামিনী কেনে করিলে বিরোষ ॥ কপালের লেখা ধনী লেখাছে বিধাতা। ভাল হৈলে সীমস্তিনী তুমি কেনে হেথা ॥ নফর বলিয়া লজ্জা কর রূপবতী । রাধিকারে কান্ধে কৈল কেন তার পতি ॥ (১) গঙ্গাজল দ্বারা ধৌত করিলেও (মেটিলে ) প্রক্ষালন ( মেটন)