পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ—মহারাষ্ট্র-পুরাণ–১৮শ শতাব্দীর মধ্যভাগ । >8文》 বারুদ সকল হাতে আছে ধূলা আছে পায়। কৃষ্ণের গায়ে বারুদ ও তা দেখিয়া মহারাজ আনন্দে ধেয়ে যায়। ধূলা । সুকোমল অঙ্গে প্রভু কৈলে পরিশ্রম। আপনার গড় রাখিলেন গুপ্ত বৃন্দাবন ॥ এমন করি গড় রাখিলেন মদনমোহন লাল। তুমি যেতে দিনে দিনে বাড়িছে জঞ্জাল ৷ বহুকাল গোকুল মিত্রি পুণ্য করেছিল। মল্ল রাজার ধন ঘরে বসিয়া পাইল ॥ আমরা অভাগ হইলাম সেই ভাগ্যবান। সন্ধ্যা সকালে দেখে সে এ চাদ-বয়ান ৷ বিলাপ । আর কেনে বাহির দ্বারে বাজে নাই ধামসা । এক কালে গেলা সব মনের ভরসা ৷ আর কি দেখিব তেমন রূপের আকৃতি । ভোরে ভোরে নাই শুনি মঙ্গল-আরতি ॥ আর কেন শ্রমন্দিরে উড়ে নাই ধ্বজ । হাহা মদনমোহন বলি কান্দে সব প্রজা ৷ একবারে ভেঙ্গে গেলা সকল প্রেমের হাট । তোমা বিনে শ্ৰীমন্দিরে লাগিলা কপাট । যে দিন শুনিব গঙ্গাপার মদনমোহন। বিষ্ণুপুরে লোক করে নাম-সঙ্কীৰ্ত্তন। মন্দিরে আসিয়া বৈস বাড়ক উল্লাস । জয়কৃষ্ণ দাস মাগে চরণের আশ ৷ গঙ্গারামের মহারাষ্ট্র-পুরাণ। অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ। পরিষৎ-পত্রিকা, ১৩১৩ সাল, ৪র্থ সংখ্যা দ্রষ্টব্য। রাজার আদেশ পাইয়া ভাস্কর চলিল ধাইয়৷ ভাস্কর পণ্ডিতের সৈন্ত-সঙ্গে করিয়া সাজন। অভিযান । ডঙ্কা নাগারা কত নিশান চলে শত শত সৈন্ত-মধ্যে বাজিছে বাজন।