পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন সঙ্গীত–রামনিধি গুপ্ত—১৭৩৮-১৮২৫ খৃঃ । ( 8) ( * ) কহিতে তাহার কথা উপজে মুখ অপার। তখন অন্ত ভাবনা থাকে না আমার ॥ কহিবারে তার গুণ, একমন হয় মন, রসন অবশ নহে কহি যত বার ॥ কিছু তারে বলে না, ব’লে কি হবে বল, বিরহ অনলে মোরে জলিতে হইল ॥ সে যদি বুঝেছে ইহা ভাল সে হতো ভাল। হইবে অনেক সুখ এই বোধ ছিল। তা না হয়ে দুঃখ-মুখ (১) দেখ দেখিতে হ’ল ৷ ( b ) নিশি পোহাইয়ে প্রাণ প্রভাতে আইলে । যে রূপে যামিনী গত, সে দুঃখ কহিব কত, জানিলাম প্রাণনাথ কি হবে কহিলে ॥ কামিনী সহিত তুমি, রতিপতি সহ আমি, ইহা বুঝি অনুমানি মনে না করিলে ॥ ( > ) আমি হে তোমার প্রাণ অতি সোহাগিনী । যখন দেখহ মোরে পাও কত মণি ॥ যদি থাকহ অন্তর তোহার বিরহ-শর বলে মোর কাণে কাণে মুখে থাক ধনি। (২) তোমার প্রিয় বচন শুনিলে সুর্থী শ্রবণ তব আদরে শরীর হরষিত জানি ॥ (১)- দুঃখ-মুখ =হঃখযুক্ত মুখ=বিষগ্ন বদন। (২) তোমার বিরহ-শর আমার কাণে কাণে বলিয়া যায়—হে ধনি, তুমি সুখে থাক ; অর্থাৎ তোমার বিরহ-যন্ত্রণার মধ্যেও তোমার চিন্তায় আমার সুখ হয়।