পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাশরথি রায়ের পাচালী। দাশরথি রায়ের বিস্তৃত বিবরণ বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের ৬৩০-৬৩৪ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য। নলিনী-ভ্রমর-কথা । দ্বন্দ্ব করি মধুকর করে তীর্থযাত্রা। কুমুদী আমোদ করি নলিনীকে কয় বার্তা ॥ o বলে প্রেম করি তোর মুখের দশা দেখতে পাইনে এ জন্ম। নিত্যি অপকীৰ্ত্তি তোদের বৃত্তি বাহিরে কৰ্ম্ম ॥ আমরা ত প্রেম করে থাকি এমন নয় যে সতী । এমনি ধারা করেছি বশ তার তফাত নাই এক রতি। আমি মান করিলে আমার বধুর কাছে সে আঁধার দেখে স্থষ্টি। আমি নয়ন ফিরালে তার নয়নে বহে বৃষ্টি । আমাকে সে ভালবাসে যেমন ছেলেয় ভালবাসে মিষ্টি । আমাকে সে মান্ত করে যেমন পোয়াতির মানে ষষ্ঠ ॥ আমি হয়েছি পাকা সোণ সে হয়েছে কষ্টি । সে হয়েছে জন্ম-অন্ধ আমি হয়েছি তার যষ্টি ॥ আট প’র কাল আমার কাছে দিয়ে থাকে তষ্টি । সাধ্য কি যে আমা বই তার অন্ত-পানে দৃষ্টি । তার আর আমার এক লগ্নেতে কোষ্ঠী। আগে তার আমি তা বই তার ইষ্টি ॥ (১) যদি বল এমন প্রেম কিসে হলো । প্রেমের বিচ্ছেদ আছে চিরকাল ॥ সে বিচ্ছেদকে নষ্ট করিয়াছি। পশ্চিমে ভানু উদয় হয় যদি কোন কালে। সাত সাগর শুকায় যদি, আমার বধুর সঙ্গে মন কি টলে । কমলিনী বলে সখি যে দুঃখে প্রাণ জলে । অধম-সঙ্গেতে থাকিতে হৈলে অধৰ্ম্মের ফল ফলে ॥ আমি চণ্ডালেরে করেছিলাম চণ্ডী-পূজায় ভৰ্ত্তি। রামছাগলকে দিয়াছিলাম রামশাল-চালের (২) পথ্যি। (১) তাহার সকলের পূৰ্ব্বে আমি, তাহা ছাড়া অন্ত কুশলের কথা পরে। (২) রামশালি চাউল=উৎকৃষ্ট তণ্ডুল-বিশেষ।