পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>QSや বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । —তোরে বারে বারে বারণ করি, রাই ! —ধীরে ধীরে চল গজগামিনি! একে বিষাদে তোর কৃশ তনু,—( রাধে প্রেমময়ি )— মরি মরি । হাটিতে কঁাপিছে জানু গো । তুই কি আগে গেলে কৃষ্ণ পাবি ? —( চঞ্চল হইলি কেন )— না জানি কোন গহন বনে প্রাণ হারা’বি গে। কত কণ্টক আছে গো বনে ; —( দেখে চল গো কমলিনি )– ও রাই ! ফুটিবে দুটা চরণে গো । কত বিজাতি ভুজঙ্গ আছে,—( গহন কানন-মাঝে ) ও তোর কোমল পদে দংশে পাছে গো । হ’ল নয়নধারায় পিছল পথ ; —(আর কঁদিস্নে বিনোদিনি )– বলি, যা’সনে রাধে এত দ্রুত গো । মোদের কাধে দুট বাহু ধুয়ে ; —( আমরা ত তোর সঙ্গে যা’ব )— কমলিনি, চল গো পথ নিরখিয়ে গো । রাধিক । আমার আবার কণ্টকাদির ভয় কি ? রাগিণী—মনোহরসাহি, তাল—লোভা । যখন নব অনুরাগে, হৃদয়ে লাগিল দাগে, বিচারিলাম আগে, পাছের কাযে ; —( যা’ যা’ করতে হ’বে গো,–সখি, আমার বধুর লাগি)– জানি প্রেম ক’রে রাখালের সনে, ফিরতে হবে বনে বনে, ভুজঙ্গ-কণ্টক-পঙ্কজ-মাঝে –( সখি, আমার যেতে যে হ’বে গো,—রাই ব’লে বাজিলে বাশী )– অঙ্গনে ঢালিয়ে জল, করিয়ে অতি পিছল, চলাচল তাহাতে করিতাম –(সখি, আমার চলতে যে হ’বে গো-বধুর লাগি পিছল পথে )– হইলে আঁধার রাতি, পথ-মাঝে কাটা পাতি, গতাগতি করিয়ে শিখিতাম । ।