পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন সঙ্গীত—কৃষ্ণকমল গোস্বামী—জন্ম ১৮১০ খৃঃ। ఏ(సిసి তাল—আড়াঠেকা। মরে হে গোপিকা-সবে, দেখাও দেখাও তাকে সবে, না দেখিলে সে কেশবে, কে স’বে আর এ সঙ্কট । তাল—খয়রা । ওগো মালতি, জাতি, কুন্দ-লতিকে, যুথি, কনক-যুথিকে গো ; ওগো লবঙ্গলতিকে ! চপল-মতিকে দে’থেছ কি যেতে অস্তিকে গো ? অবশু দেখেছ বল্লভ রাধার, মকরন ছেলে বহে অশ্র-ধার, সবায় দেখি প্রেমাঞ্চিত, ক’রো না বঞ্চিত, নারী হ’য়ে নারীজাতিকে গো । তাল—আড়াঠেকা । যদি কেহ দেখে থাক, দেখাইয়ে প্রাণ রাখ, নইলে প্রাণ আর বঁাচে না গো, উচিত নহে কপট । সেখীর প্রতি)—সখি! দেখ, অভাগিনীর দুর্দশা দেখে এরা কেও কোন কথা বললে না। চল আমরা এই কদম্ব-কাননে যাই। ললিতা। আমরা তোমার অনুগত, প্যারি ! তুমি যেখানে যাবে সেই খানেই যাব। রাই, তবে চল যাই। (স্বগত) আহা ! প্রেমময়ী প্রেম-বিহ্বলা হয়ে বনের বৃক্ষ-লতাকে বধুর কথা জিজ্ঞেস করছেন ! হায়! কৃষ্ণপ্রেমের পরিণাম কি এই ? রাজ-নন্দিনী রাই, উন্মাদিনী ! ( সকলের কদম্ব-কাননে গমন ) রাধিক৷ (কদম্ব-বন দর্শনপূর্বক সাক্ষেপে সখী-প্রতি ) রাগিণী—মনোহরসাহি, তাল—লোভা । এই ত কাননে গো, এই ত কাননে, সখি গো ! এই ত কাননে, কাল্প চরাইত গো ধেনু ; এই ত কদম্বমূলে বাজাইত বেণু –মনের কতই বা মুখে। বেণু-রবে ধেনু চরাইত –মনের কতই বা মুখে। সদা আসিতাম শুম-দরশনে —মনের কতই বা সুখে।