পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । -- سپاہ رھا ھ.. ( শ্রীরাধিকার মূর্ছা ) সখীগণ । ( শশব্যস্তে ও সকাতরে ) রাগিণী—আলাইয়া, তাল–রপক । ও তোর চরণ ধরিয়ে বলি, প্যারি ! ধৈৰ্য্য ধর । —নয়ন মেল, মোদের বচন ধর ॥ ও ত নয় তোর গিরিধর, চেয়ে দেখু ঐ বারিধর, মরি | দুটা নয়ন-ধারায় ধরা ভাসাস নে গো ধনি,— —হে’রে নবীন ধারাধর ॥ তাল—খয়রা । রাই গো, অঙ্গের অম্বর, সম্বর সম্বর, ও তুই বা’চুলে পাবি তোর সে পীতাম্বর। বলি শুন বিনোদিনি, গেছে এত দিনই—রাধে, কেন উন্মাদিনী হ’য়ে ত্যজিবি কলেবর ? —ও সে বধুর লাগি— —কেন মেঘ দেখে রাই এমন হ’লি, —কাল মেঘ বুঝি তোর কাল হইল— —তোরে কেন বনে মোরা এনেছিলাম— —বুঝি বনে এনে তোরে হারাইলাম— —আগে জানলে বনে আনতাম না গো— এম্‌নি ক’রে যদি পরাণ ত্যজিবি, পেতে প্রেমের হাট কি আপনি ঘুচা’বি, ব্রজে তব শোকানলে, মরিবে সকলে,—রাধে, কথা শুনলে কি আর সেথা বা’চুবে নটবর। —ও তোর মরণ-কথা গো ধনি— —তুই বাচিলে তোর বধু পাবি– —আবার শু্যামচাদের বামে দাড়া’বি— —যদি শুম-বিরহে রাই, প্রাণ হারা’বি, ও তোর সাধের বধু কারে দিয়ে যাবি– —তাই বলি, বলি রাই ! গা তোল গো ধনি – তাল–রপক । কেন অধৈৰ্য্য হইলি গো রাধে – ও তুই হয়ে ধৈৰ্য্যের ধরাধর।