পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহজিয়া-সাহিত্য—অকিঞ্চন দাস—১৮শ শতাব্দী। ుల(t তাহা দুই লয়ে রয় নিভৃত উষ্ঠানে। কোন জন জানে ক্ষুদ্র কাহা তার মনে ॥ রাগানুগ মার্গে জানি রায়ের ভজন।” ( ইত্যাদি ) এ সব নায়িকীগণ পরম সুন্দরী। আকার স্বভাবে যেন ব্ৰজদেবী-নারী ॥ শরণ লইনু কর কৃপাবলোকনে। এ সকল ধৰ্ম্ম ভাই শুনিএ শ্রবণে ॥ শীঘ্ৰ কদাচিৎ না হয় আচরণে ॥ রাগ শিক্ষা কর আগে সাধু গুরু-পাশে । তবে ত সাধন হয় মনের উল্লাসে ॥ ঐছে ক্রিয়া সিদ্ধি পাই রূপাশ্রিত ধৰ্ম্ম । পূৰ্ব্ব মহাজন-পদে কহিয়াছে মৰ্ম্ম । ঠাকুর শ্রীরামের কনিষ্ঠ সহোদর। প্রিয় শিষ্য মাত বিষ্ণুপ্রিয় ঈশ্বরীর ॥ ঠাকুর সে বংশীবদন তার নাম। রূপাশ্রয় ধৰ্ম্ম যেহ করিল বর্ণন ॥ বহুপদ কৈল তেঁহ অনিৰ্ব্বচনীয়ে। বলরাম চন্দ্র বৈসে যাহার হৃদয়ে ॥ হেন বংশীর পাদপদ্মে মোর হউক আশ । জন্মে জন্মে তার ধৰ্ম্মে করিয়া বিশ্বাস ॥ রূপের আশ্রয় হয়ে ভজে বহুজনে । আমারে বুঝাও আশ্রয় হইল কেমনে ॥ অপ্রাকৃত রূপ সে প্রাকৃত কতু নয়। প্রাকৃত শরীর-রূপ কেমনে মিলয় ॥ ধ্যান মন্ত্রেতে নাই কেমনে মিলে তারে। যদি অনুরাগ হয় গুরু অনুসারে ॥ তবে যে কহিয়ে কিছু রূপের মহিমা। আশ্রয়-তত্ত্ব-সিদ্ধ হয় করিলাম সীমা ॥ আশ্রয়-তত্ত্ব-সিদ্ধি অতি দুলভ হয়। স্থানে স্থানে মহাজনে এই কথা কয় ॥ রূপের আশ্রয় হয়ে ভজে বংশীদাসে। রসিকের কৃপা ন হইলে রূপ পাবে কিলে ॥