পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পদাবলী—গোবিন্দ দাস—১৬শ শতাব্দী ৷ একলি যাইতে যমুনার ঘাটে। পদ-চিহ্ন মোর দেখিলে বাটে ॥ প্রতি পদ-চিহ্ন চুম্বয়ে কান। তা দেখি আকুল বিকল প্রাণ ॥ লোক দেখিলে কি বলিবে মোরে। নাসা পরশিয়া রহিনু দূরে ৷ হাসি হাসি পিয়া মিলল পাশ। তা দেখি কঁপিয়ে গোবিন্দ দাস ॥ (১) সিনান দুপুর সময়ে জানি। তপত পথে ঢালয়ে পানী ॥ (২) কি কহব সখি পিয়ার কথা । কহিতে হৃদয়ে লাগয়ে বেথা ॥ তাম্বুল ভোখিয়া দাড়াই পথে। হেন বেলা গিয়া পাতয়ে হাতে ॥ (৩) লাজে হাম যদি মন্দিরে যাই । পদ-চিহ্ন-তলে লুটয়ে তাই ॥ আমার অঙ্গের সৌরভ পাইলে। ঘুরি ঘুরি যন্ত্র ভ্রমরা বুলে ৷ গোবিন্দ দাসের জীবন হেন। পারিতি বিষম মানহ কেন ৷ নাহি উঠল তীরে সবহু সর্থীগণ-সঙ্গ নাগর রায় । বসন নিঙাড়ি মোছই সব তনু নব নব বেশ বনায় ॥ (১) একলা যখন যমুনার ঘাটে যাই, তখন পথে আমার পদ-চিহ্ল দেখিয়া কৃষ্ণ প্রতি পদ-চিকু চুম্বন করেন, তাহ দেখিয়া আমার প্রাণ আকুল হইয় উঠে। লোকে দেখিলে আমাকে কি বলিবে, এই লজ্জায় আমি নাকে হাত দিয়া সরিয়া যাই। কিন্তু কৃষ্ণ হাস্তমুখে আমার সঙ্গে মিলিত হন –ভয়ে গোবিন্দ দাসের চিত্ত কম্পিত হয়—কারণ তখন দ্বিপ্রহর বেলা । (২) দুই প্রহরের সময় আমি স্নান করিতে যাই জানিয়া, কৃষ্ণ স্বৰ্য্যতাপে-উত্তপ্ত-পথে জল ঢালেন। - (৩) তাম্বুল খাইয়া পথে দাড়াইলে শ্ৰীকৃষ্ণ প্রসাদ পাইবার জন্ত হস্ত-প্রসারণ করিয়া দাড়াম। రి లి: