পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট—কর্তাভজা লালশশী—১৮শ শতাব্দী। ১৮৪৩ যখন বাকা হয়ে তাকিএ দেখ ভাই, তোমাতে আমাতে অভেদ দেখতে পাই, তুমি যা ভাব মনে আমরা মনে ভাবি নে তোমা বিনে, ধুলায় লালশশী ধুসর হলে তো তুলবে না। ( ২৯ ) আমি বাপ দিয়ে এই নীরে। খাবি খেয়ে তলিয়ে এলাম জলের ধারে ॥ হলো আসতে আসতে আকর্ষণ, o সাধুর সহিত আমার হয় সম্মিলন, & বহু ভাগ্য যোগেতে অহৰ্নিশি যা ভাবি পাচ্ছি দেখিতে, আমি এই আভাসে ভেসে ভেসে এসে তলিয়েছি। - ( రిe ) যে জন তিন ভূবনে সকল জানে ঠায় ঠিকানা। সে লোক কি মনের মানুষকে দেখলে কি চিন্তে পারে না। যদি এক নজরে দেখতে তারে তত্তে বসিয়ে, ত্যক্ত বিরক্ত সেত নিযুক্ত থাকৃতে তোর হয়ে, আহা আদি অনাদি গুণের নিধি তার বাড়া কি আছে ধন ॥ ( రి) ) কেহ না তত্তে বসে এ দেশে কৰ্ত্তেছে রাজত্ত্বি। কেউ বা হাতে মালসী লয়ে ফিরিছে সম্প্রতি ॥ কার মুখের ভরা কুল কিনারা লাগলো এসে, কেউ খাবি খায় মাঝ দরিয়ায় প্রাণ তার যায় নিমিষে, কেউ ভাসছে জলে মানুষ বোলে ডাকলে হয় উদ্ধার, বাচলে আর কোন কালে ডাকলে উত্তর পাওয়া ভার, তারে মনের ক্ষোভে ডাকুলে তবে অম্নি হবে আগমন । ( ৩২ ) একদিন ঐ মানুষের তল্লাসে দেশ বিদেশে ঘুরে । এক তামাসা দেখতে পেলাম দশ দশার পাথরে ॥ ৯ মণি মুক্ত প্রবাল রত্ন সকল জাহাজে বোঝাই, , তার কোথা গিয়াছে মাল মাহাত্ম্য রহিত কিছুই নাই,