পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

及8° বঙ্গ-গৌরব ৯. স্টার থিয়েটার ঃ স্টার থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা হলেন গুমুখ রায় নামে এক তরুণ যুবক। তিনি মাড়োয়ারি সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন। গিরিশচন্দ্রের তত্ত্বাবধানে ৬৮ নম্বর বিডন স্ট্রিটের জমিতে এক নূতন নাট্যশালা নির্মিত হােল। গিরিশচন্দ্রের দক্ষযজ্ঞ’ নাটক দিয়েই ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই স্টার থিয়েটারের উদ্বোধন ঘটে। ১৮৮৭ এর ৩১ জুলাই স্টার-এ শেষ অভিনয় হয়। ১০. এমারেন্ড থিয়েটার ঃ স্টার থিয়েটারের বাড়িটি গুর্মুখ রায় ছেড়ে দিলে এই বাড়িতেই গোপাললাল শীল এমারোল্ড থিয়েটার নাম দিয়ে তার নূতন থিয়েটার খুলে বসলেন। বৈদ্যুতিক আলোর অভাব মেটানোর জন্য গোপাললাল ডায়নামো দিয়ে আলোর ব্যবস্থা করলেন। ১৮৮৭-এর ৮ অক্টোবর কেদার চৌধুরীর লেখা পৌরাণিক নাটক ‘পাণ্ডব নির্বাসিন’ দিয়ে এমারেন্ড থিয়েটারের উদ্বোধন হােল। এটি ১৮৯৬ পর্যন্ত অর্থাৎ দশ বছর ধরে চলেছিল। ১১. মিনার্ভা থিয়েটার ঃ প্ৰসন্নকুমার ঠাকুরের দৌহিত্র নগেন্দ্ৰভূষণ মুখোপাধ্যায়ের অর্থানুকূল্যে ও গিরিশচন্দ্রের নেতৃত্বে ৬নং বিডন স্ট্রিট মিনার্ভা থিয়েটারের পত্তন হােল। প্রথমে নামকরণ ব্যাপারে তিনটি নাম প্রস্তাবিত হয়-ক্লাসিক, মিনার্ভা ও আনন্দময়ী। কিন্তু সবার সম্মতিতে মিনার্ভা নামটি গৃহীত হয়। ১৮৯৩-এর ২৮ জানুয়ারি গিরিশচন্দ্রের অনূদিত নাটক ম্যাকবেথ' দিয়ে এই থিয়েটার প্রথম খোলা হয়। ১৯০৫ পর্যন্ত এটি 56नछिल । ১২ ম্যাকবেথ ৪ গিরিশচন্দ্রের অনুদিত নাটক। প্রকাশকাল ১৩০৬৷৷ ১৩. ক্লাসিক থিয়েটার ঃ ৬৮ নং বিডন স্ট্রিট থেকে সিটি থিয়েটার বিদায় নেবার পর অমরেন্দ্রনাথ দত্তের নেতৃত্বে ১৮৯৭ এর এপ্রিল মাসে ক্লাসিক থিয়েটারের প্রতিষ্ঠা হয়। ১৮৯৭ থেকে ১৯০৬ পর্যন্ত এটি চলেছিল। ১৮৯৭ এর ১৬ এপ্রিল গিরিশ ঘোষের “নল-দময়ন্তী’ ও ‘বেল্লিক বাজার’ দিয়ে ক্লাসিকের উদ্বোধন। ১৪. কোহিনূর থিয়েটার ঃ ক্লাসিক থিয়েটার বন্ধ স্বয়ে গেলে নদিয়া জেলার কুডুলগাছির জমিদারপুত্র শরৎকুমার রায় এক লাখ ষাট হাজার টাকায় সেটি কিনে নিয়ে কেহিনুর থিয়েটারের প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯০৭-এর ১১ আগস্ট ক্ষীরোদপ্ৰসাদ বিদ্যাবিনোদের ‘চান্দবিবি” নাটক দিয়ে এই থিয়েটারের উদ্বোধন। এটি ১৯১২ পর্যন্ত চলেছিল। ১৫ সুরেন্দ্ৰনাথ ঘোষ (দানীবাবু) (১১.১২.১৯৬৮-২৮.১১.১৯৩২) ঃ নাট্যাচার্য গিরিশচন্দ্রের পুত্র সুরেন্দ্রনাথ ঘোষ ‘দানীবাবু” নামে সমধিক পরিচিত। লেখাপড়া বেশিদূর এগোয়নি। পরে অভিনয় জগতে ঢুকে পড়েন। কলকাতার প্রায় সব মঞ্চেই অভিনয় করেছেন। বঙ্গভঙ্গ আন্দােলন কালে সিরাজের ভূমিকায় তার প্রাণমাতানো অভিনয়ে দর্শক সমাজ মোহিত হন। ১৯৯১৮-তে বন্যার্তদের সেবায় দেশবন্ধুর ইচ্ছায় দুর্গেশনন্দিনী নাটকে ওসমানের অভিনয়ে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। বিভিন্ন রসের অভিনয়ে তিনি সমান দক্ষতা দেখাতে পারতেন। “প্ৰফুল্প' নাটকে যোগেশ-এর ভূমিকায় ও তিনি যথেষ্ট দক্ষতা দেখিয়েছিলেন।