মাধবী বলিল, “আবার আস্ব। তোমার ছেলের যখন পৈতা হবে, তখন নিয়ে এস। এখন যাই!”
“সে ত আট-দশ বছরের কথা।”
“যদি বেঁচে থাকি, তা হ’লে আস্ব।”
কোনরূপেই মাধবী এখানে থাকিতে সম্মত হইল না, যাইবার উদ্যোগ করিতে লাগিল। নূতন-বৌকে সংসার বুঝাইয়া দিল, দাস-দাসীকে ডাকিয়া আশীর্ব্বাদ করিল। শেষ দিনটিতে শিবচন্দ্র অশ্রুপূর্ণ-চক্ষে ভগিনীর কাছে আসিয়া বলিল, “মাধবি, তোর দাদা কখনো ত তোকে কিছু বলেনি?”
মাধবী হাসিল, “সে কি কথা, দাদা?”
“তা নয়; যদি কোন অশুভক্ষণে, যদি কোন দিন মুখ থেকে অসাবধানে কিছু–”
“না দাদা, সে সব কিছু নয়।” “সত্যি কথা?” “সত্যি!”
“তবে যা। তোর নিজের বাড়ি যেতে আর মানা কর্ব না। যেখানে ভাল লাগে, সেখানে থাক্। তবে সর্ব্বদা সংবাদ দিতে ভুলিস্নি!”
প্রথমে মাধবী কাশী গিয়া ভাগিনেয়কে সঙ্গে লইল, তাহার পর তাহার হাত ধরিয়া গোলাগাঁয় আসিয়া, এই দীর্ঘ সাত বৎসর পরে স্বামি-ভবনে প্রবেশ করিল!
তখন গোলাগাঁয়ে চাটুয্যে মহাশয়ের বড় বিপদ্ ঘটিল। তিনি এবং যোগেন্দ্রের পিতা উভয়ে বড় বন্ধু ছিলেন। তাই মৃত্যুকালে যোগেন্দ্র, যে কয় বিঘা জমি-জায়দাদ ছিল, তাঁহারই হাতে দিয়া গিয়াছিলেন। যোগেন্দ্রনাথের জীবিতকালে, তিনি যে সকলের