পাতা:বড়বাড়ী - জলধর সেন.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दgदांऊँी ' ఆసి পাইল ; তাহারা খাজানা দেওয়া বন্ধ করিল ; আদায় করিতে গেলে সকলেই বলে “আগে জমিদারদের গোল মিটুক, তখন খাজানা দিব।” নিতাই ইহাতে ভয় পাইল না ; কিন্তু কাৰ্ত্তিক বিপন্ন হইয়া পড়িলেন। একদিকে বিষয়-বিভাগের মোকদ্দমা, অপর দিকে প্ৰজাবিদ্রোহ। কান্তিকের পরামর্শদাতা মাধব ঠাকুর দুই হাতে লুণ্ঠন আরম্ভ করিল ; আকারণ ফৌজদারী বাধাইতে লাগিল । আগুন ভাল করিয়া জলিয়া উঠিল। প্রতিদ্বন্দ্বী জমিদার মল্লিক। বাবুরা ও আর নীরব থাকিলেন না ; তাহারাও তখন কাৰ্ত্তিক মিত্রকে নানাপ্রকারে বিপন্ন করিবার আয়োজন করিলেন । দুই বৎসর যাইতে না যাইতেই কাৰ্ত্তিক মিত্র সর্বস্বাস্ত হইয়া পড়িলেন ; চারিদিকে ধারকর্জে তাঁহাকে ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলিল। উত্থান-পতন জগতের নিয়ম। যখন মনোহরপুরে কীৰ্ত্তিক এই প্ৰকার বিপদ-জালে জড়িত, যখন তাহার জমিদারী রক্ষার আর উপায় নাই, তখন তারক কলিকাতায় । এই দুই বৎসর তারক নিশ্চেষ্ট ছিলেন না । সপরিবারে কলিকাতায় যাইয়া প্ৰথম মাসখানেক তিনি কিছুই করিলেন না, সে সময় তঁহার কোন কাৰ্য্য করিবার উৎসাহ ছিল না ; তিনি দিনরাত বাসায় বসিয়া কেবল অতীত ঘটনার চিন্তাতেই সময় অতিবাহিত করিতেন। মহেন্দ্ৰ কতবার তাহাকে বাসার বাহির করিবার চেষ্টা করিয়াছেন ; কিন্তু তারকের একই কথা “আমার আর কিছু করিবার মত মনের বা শরীরের বল নাই।