পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চদশ পুত্তলিকা।।
১০৫

পকিন্তু উঠিয়া দেখিলেন বৃক্ষের উপর একটা ঋক্ষ বসিয়া আছে। তদবলোকনে আরো ভীত হইয়া কম্পান্বিত কলেবর হইলেন, সুতরাং বৃক্ষ হইতে ভূমিতে পতিত হইবার উপক্রম হইল তাহা দেখিয়া ভালক কহিল হে কুমার তুমি ভয় করিওনা, আমি তোমাকে ভক্ষণ করিব না, তুমি আমার শরণাগত হইয়াছ, অতএব আমি তোমাকে জীবন দান করিলাম, তুমি স্বচ্ছন্দে এখানে বসিয়া থাক। এই কথা শুনিয়া রাজপুত্রের সাহস হইল, বৃক্ষ হইতে পতিত হইলেন না।

 অনন্তর দিবাবসান হইলে ভাল্লুক কহিল এক্ষণে রজনী আগত, কিন্তু এই যে ব্যাঘ্র বসিয়া আছে এ আমাদের উভয়ের শত্রু, আমরা একবারে উভয়ে নিদ্রিত হইলে সে আমাদিগকে নষ্ট করিবার চেষ্টা অতএব আমরা এক এক জন দুই দুই প্রহর কাল করিয়া জাগিয়া থাকি, তাহা হইলে সে আমাদিগকে নষ্ট করিতে পারিবে না। রাজপুত্র বলিলেন এ পরামর্শ উত্তম। ভাল্লুক বলিল তবে আমি প্রথমার্ধ রাত্রি জাগরণ করি তুমি নিদ্রা যাও, পরে তুমি জাগিয়া থাকিবে আমি নিদ্রা যাইব। এই পরামর্শ করিয়া রাজপুত্র শয়ন করিলেন। ভাল্লক জাগৃত থাকিল।

 রাজপুত্র নিদ্রাভিভূত হইলে ব্যাঘ্র ঋক্ষকে কহিল অহে ঋক্ষ তুমি অজ্ঞানের কর্ম্ম করিও না। আমরা উভয়ে বনবাসী, এবং মনুষ্য আমাদের উভয়ের শত্রু, করিবে।