পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষোড়শ পুত্তলিকা।
১১৩

ম্বিত ও দাতা কে আছে। আমি তোমাকে তাঁহার গুণের বিবরণ কহিলাম। এক্ষণে তুমি এই সিংহাসনোপবেশনের উপযুক্ত পাত্র কি না বিবেচনা কর।

 এই সকল কথা বার্তায় মে দিবসের লগ্ন অতীত হইল, সুতরাং ভোজরাজ অন্তঃপুরে গেলেন। দিবস প্রত্যুষে পুনর্বার স্নান পূজাদি করিয়া সিংহাসনের সম্মুখে আসিয়া মন্ত্রীকে কহিলেন সিংহাসনারোহণে আমার নিতান্ত বাসনা হইয়াছে। মন্ত্রী কহিলেন মহারাজ আপনি সিংহাসনে বসিবেন সে উত্তম কথা, কিন্তু তাহা হইলে এই সকল পুত্তলিকা রোদন করিয়া প্রাণ ত্যাগ করিবে। রাজা যখন এই কথায় কোন উত্তর করিলেন না, তখন,

সুন্দরবতী ষোড়শ পুত্তলিকা।

কহিল মহারাজ আমি এক বৃত্তান্ত বলি শ্রবণ কর।

 উজ্জয়িনী নগরে এক ধনবন্ত বণিক ছিলেন। তিনি নানা প্রকার বাণিজ্য কার্য্য করিতেন। এমত দাতা ছিলেন যে, কোন প্রার্থক তাহার স্থানে গমন করিলে রিক্ত হস্তে ফিরিত না। ঐ বণিকের রত্নসেন নামে এক পুত্র ছিলেন। তিনি অতিরূপবান ও বিদ্বান ছিলেন, মাতা পিতাকে অত্যন্ত ভক্তি করিতেন। পরে তাহার বিবাহের উপযুক্ত বয়স হইলে, বণিক কন্যা অন্বেষণ জন্য দেশদেশান্তরে ঘটক প্রেরণ করিলেন। তাহাদিগকে কহিয়াদিলেন অতিরূপবতী কন্যা