পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষোড়শ পুত্তলিকা
১১৫

উপনীত হইয়া বণিককে সকল সংবাদ কহিলেন। বণিক কন্যাকত্তার পুরোহিতের সম্মুখে আপন পুত্রকে আনিয়া দেখাইলেন। পুরোহিত তাহাকে দেখিয়া ললাটে তিলক দিলেন। পরে বিবাহের দিবস ধার্য্য করিয়া বলিলেন অমুক দিবসে বিবাহ হইবে, আপনি বিবাহের উদ্যোগ করিয়া শীত্র বর লইয়া আসুন, আমি গিয়া বিবাহের আয়োজন করাই। ইহা বলিয়া পুরোহিত বিদায় হইলেন, এবং সমুদ্র পার হইয়া স্বদেশে প্রত্যাগমন পূর্ব্বক সাধুসমীপে সবিশেষ সমস্ত বৃত্তান্ত নিবেদন করিলেন। বণিক তাহা শুনিয়া বিবাহের দ্রব্যাদি প্রস্তুত করিতে লাগিলেন।

 এদিকে বরকর্ত্তা বিবাহের আয়োজন করিতে লাগিলেন। তাঁহার বাটীতে নহবত ও নাগারা খানা বসিল, এবং নানা প্রকার মঙ্গলাচরণ, নৃত্যগীত ও রাগরঙ্গ হইতে লাগিল। যে সকল আত্মীয় কুটুম্বগণ বর লইয়া যাইবেন তাহাদিগকে নূতন বসন দান করিলেন। নগরস্থ তাবৎ লোককে নিমন্ত্রণ করিয়া নিত্য নিত্য নানাবিধ আহারাদি করাইতে লাগিলেন। এই প্রকার বিবাহের পূর্ব্বকত্তব্য কৌলিক ও মাঙ্গলিক কর্ম্ম সকল সম্পন্ন করিতে অনেক দিন লাগিল। তাহাতে বিবাহের অবধারিত দিবস অতিনিকটবর্তী হইল। ফলতঃ এমত কাল রহিল না যে সমদ্র পারে গিয়া নিদ্ধারিত দিবসে বিবাহ সম্পন্ন হয়।

 ইহাতে বরকত্তা ও আর আর কুটুম্বের অতিশয়