পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষােড়শ পুত্তলিকা।
১১৭

হইয়া দ্বারীকে কহিলেন রাজাকে সংবাদ দাও, আমি তাঁহার নিকট কোন কথা নিবেদন করিব। দ্বারপাল ভূপালকে সংবাদ না দিয়া অগ্রে মন্ত্রীর নিকট সম্বাদ কহিল। মন্ত্রী তাহাকে স্বসমীপে আনয়ন করাইলে, বণিক তাহাকে দণ্ডবৎ হইয়া প্রণাম করিলেন। তদনস্তর বহু বিনয় পুৱঃসর কহিলেন আমি মহারাজকে দর্শন করিবার জন্য আসিয়াছি, আমার এক বিপদ উপস্থিত। মন্ত্রী কহিলেন রাজা অন্তঃপুরে আছেন। বণিক এ কথায় ব্যগ্র চিত্ত হইয়া কহিলেন আমার এক গুরুতর প্রার্থনা ছিল। আমার পুত্রের বিবাহের চারি দিবস কাল অবশিষ্ট আছে, কিন্তু সমুদ্রপারে অনেক দূর যাইতে হইবে। ইহার মধ্যে কন্যাকর্ত্তার ভবনে উপস্থিত হইতে না পারিলে লগ্ন ভ্রষ্ট হইবে, এবং আমি সকলের হাস্যাস্পদ হইব। মন্ত্রী এই কথা শুনিয়া অন্তঃপুরে প্রবেশ পূর্বক রাজাকে সকল বৃত্তান্ত কহিলেন। রাজা তাহা শ্রবণ মাত্র আজ্ঞা দিলেন ভাণ্ডার হইতে চতুর্দোল আনাইয়া বণিককে দাও, এবং তাহার পুত্রের বিবাহে যে যে দ্রব্যের আবশ্যক হয় তাহ দেওয়াও, কোন প্রকারে শুভ কর্মের বিঘ না হয়। মন্ত্রী রাজাজ্ঞানুসারে সাধুকে চতুর্দোল আনয়ন করাইয়া দিলেন, এবং বলিলেন যদি আর কোন দ্রব্যের আবশ্যক হয়, কহ, দেওয়া যাইবে। বণিক বলিলেন মহারাজের কৃপাতে আমার সকলি আছে, কেবল এই চতুর্দোলের প্রয়োজন ছিল, তাহা পাইলাম