পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তদশ পুত্তলিকা।
১২৩

স্বদেশ গমন করিবে তবে কিঞ্চিৎ স্মরণসাধন বস্তু লইয়া যাও। ইহা বলিয়া চারিটী রত্ন তাহার হস্তে দিয়া কহিলেন, এই চারি রত্নের চারি গুণ। এক রত্নের গুণ এই, ইহার স্থানে যে রত্ন ও অলঙ্কারাদি চাহিবে তাহা তৎক্ষণাৎ প্রাপ্ত হইবে। দ্বিতীয় রত্নের স্থানে হস্তী অশ্ব শিবিকা যাহা যখন প্রার্থনা করিবে তখনি তাহা পাইবে। তৃতীয় রত্নের গুণ এই, ইহার স্থানে যখন যে অর্থের প্রয়োজন হয় চাহিবামাত্র পাইবে। চতুর্থ রত্ন হইতে পরমার্থ ও সৎকর্ম সাধনের যে কামনা করিবে তাহা পূর্ণ হইবে। চারি রত্নের এই চারি গুণের কথা শ্রবণ করিয়া রাজা বিক্রমাদিত্য বদ্ধাঞ্জলি হইয়া বলিলেন, স্বামিন, আমি আপনার অসীম গুণের কি ব্যাখ্যা করিব, আমাকে চিরজীত কিঙ্কর ভাবিয়া স্মরণে রাখিবেন।

 এই প্রকার স্তুতিবাদের পর, রাজা বিক্রমাদিত্য বিদায় হইয়া বেতালের স্কন্ধারোহণে স্বীয় রাজধানীতে যাত্রা করিলেন। রাজধানীর এক ক্রোশ ব্যবধান থাকিতে বেতালের স্কন্ধ হইতে অবতরণ করিয়া পদব্রজে গমন করিতে লাগিলেন। কিয়দ্র গমন করিলে, এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ তাহাকে দেখিয়া বলিলেন আমি অদ্য অনাহারে আছি, আমাকে কিঞ্চিৎ ভিক্ষা দাও। রাজা মনে মনে কহিলেন এই ব্রাহ্মণকে একটী রত্ন দিই। ইহা ভাবিয়া তাহাকে কহিলেন হে ভূদেব আমার স্থানে চারিটী রত্ন আছে, ঐ চারি রত্নের এই