করিল যে তাহাদিগকে দেখিলে বোধ হয় না যে তাহারা। জীবনবিশিষ্ট নহে, তাহাদিগের আপাদ মস্তক সমস্ত অঙ্গই সৰ্বাঙ্গ সুন্দর, চক্ষুঃ হরিণাক্ষির ন্যায়, কটিদেশ সিংহের মধ্যদেশের ন্যায়, এবং চরণের গঠন দর্শনে এমত বোধ হইল যে তাহারা মরালগামিনী। ফলত। যাহারা তাহাদিগকে দৃষ্টি করিল ঐ সকল পুত্তলী একবারে তাহাদের চক্ষুর পুত্তলী হইল।
ভোজরাজ মনে মনে বিবেচনা করিতে লাগিলেন বুঝি পরমেশ্বর স্বহস্তে এই সমস্ত পুত্তলী নিৰ্মাণ করিয়াছেন, অথবা ইহারা ইন্দ্রের অসরাই হইবেক। এক জন পণ্ডিত সিংহাসনের এই প্রকার সৌন্দর্য্য সন্দর্শন করিয়া বলিলেন মহারাজ জীবন ও মৃত্যু পরমেশ্বরের ইচ্ছাধীন, কিন্তু মনুষ্যের কর্তব্য, জীবনাবস্থায় জীবনের তাবৎ সুখ ভোগ করে। অতএব মহারাজ অবিলম্বেই এই সিংহাসনে আরোহণ সুখ অনুভব করিয়া যথার্থ সুবিচার প্রচার পূর্বক প্রজাবর্গ প্রতিপালন করুন। ভোজরাজ কহিলেন আমি তাহাই মানস করিয়াছি, অতএব তোমরা একটা শুভ সময় ও লগ্ন স্থির কর, আমি সেই সময়ে সিংহাসনে উপবেশন করিব। ইহা শুনিয়া পণ্ডিতেরা কার্তিক মাসের এক দিবস অবধারিত করিলেন। ভোজরাজ সিংহাসনোপবেশনের উদ্যোগ করিয়া রাজ্যস্থ তাবৎ নৃপতি ও নিকটস্থ দুরস্থ ব্রাহ্মণ পণ্ডিত গণকে নিমন্ত্রণ করিলেন। এবং নির্ধারিত দিবসে রাজা প্রাতঃ স্নানাদি করিয়া উত্তম পরিচ্ছদ পরিধান